গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতাল চলছে। হরতালের সমর্থনে ঢাকায় বিচ্ছিন্নভাবে মিছিল, সমাবেশ ও পিকেটিং হয়েছে। হরতাল চলাকালে রাজধানীর শাহবাগের চার রাস্তার মোড়ে অবস্থান নেন হরতাল-সমর্থকেরা। এতে সেখানে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঢাকার অন্যত্র যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের এই হরতাল আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়। চলবে বেলা ২টা পর্যন্ত।
সকাল সাতটার পর থেকে ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে হরতালের সমর্থনে অবস্থান নেন জোটের নেতা-কর্মীরা। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাঁরা গাড়ি চলাচলে বাধা দিতে শুরু করেন। এ সময় বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক হযরত আলীকে আটক করে পুলিশ। সেখানে অবস্থানরত জোটের নেতা-কর্মীদের প্রতিবাদের মুখে আধা ঘণ্টা পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাবেক ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য লিটন নন্দী বলেন, পল্টনের মতো পুলিশ সারা দেশেই শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালনে বাধা দিচ্ছে।
লিটন নন্দী বলেন, সড়কে গাড়ি চললেও হরতালে মানুষের সমর্থন আছে। জীবিকার তাগিদে মানুষ হয়তো বাইরে বের হয়েছে। কিন্তু গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা এই হরতালের প্রতি মানুষ মৌন সম্মতি দিচ্ছে।
সকাল সাতটার দিকে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি ঘুরে শাহবাগ মোড় অবস্থান নেন। তাঁরা সড়কে বসে পড়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সায়েন্স ল্যাব ও প্রেসক্লাব মোড় থেকে আসা যানবাহনগুলো আটকে যায়। শুধু বাংলামোটরের দিক থেকে প্রেসক্লাবের দিকে যাওয়া সড়কে যানবাহন চলছে।
রাজধানীর প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে সড়কে যানবাহন চলছে স্বাভাবিক দিনের মতোই।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে হরতালের তেমন কোনো প্রভাব লক্ষ করা যায়নি। নগরের জামালখান, কাজীর দেউড়ি, জিইসির মোড়, অলংকার মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। স্কুল-কলেজেও খোলা রয়েছে। নগরীর কোথাও পিকেটিং চোখে পড়েনি।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের এই হরতালের প্রতি নৈতিক সমর্থন দিয়েছে বিএনপি।
বাম গণতান্ত্রিক জোট বলছেন, অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। সিএনজির দাম বাড়ানোর ফলে পরিবহনব্যয় বেড়ে যাবে। শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে শিল্পপণ্যের দাম বাড়বে।
আরও পড়ুন...