স্বাধীনতা পদক নিয়েও আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন চিকিৎসা ও সেবা কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পদক চালু করেছিলেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ এই পদককেও কলুষিত করেছে।
মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনকে এবার স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমির হামজা নামের একজনকে তাঁরা পদক দিয়েছেন এবং একপর্যায়ে তাঁরা সেই পদক বাতিল করেছেন। আরও যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরা কারা। তাঁদের বেশির ভাগই হয় মন্ত্রীদের আত্মীয়স্বজন অথবা প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন। তাঁদেরকে শুধু পদক দেওয়া হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ মিথ্যা প্রচার দিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য এমনভাবে বেড়েছে যে মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব হচ্ছে না।
আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সারাক্ষণ বিএনপির স্বপ্ন দেখেন বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এ থেকে বোঝা যায় বিএনপি শুধু আছে না, প্রবলভাবে আছে।
বিএনপি এখন বিদেশিদের ওপর নির্ভর করছে, কয়েক দিন আগে ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি কোনো দিন বিদেশিদের ওপর নির্ভর করে না। তারা আন্দোলন করেই ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসেছে, আর ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল জনগণের ভালোবাসা নিয়ে।
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের সর্বনাশ করেছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৩৫ লাখ বিএনপির নেতা–কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা হয়রানি করছে। ছয় শতাধিক মানুষকে তারা গুম করেছে। গণতন্ত্র রক্ষায় আওয়ামী লীগকে সরানো ছাড়া বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে সংসদ নির্বাচনব্যবস্থাকে কলুষিত করেছে। দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে নিষেধাজ্ঞা লজ্জাকর বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন চিকিৎসা ও সেবা কমিটির আহ্বায়ক ফরহাদ হালিমের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব আবদুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।