স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মেয়র ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের জন্য এক ধরনের নিয়ম আবার সদস্য বা কাউন্সিলর পদের জন্য অন্য নিয়মকে ‘জগাখিচুড়ি’ বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন ‘একই খেলায় দুই নিয়ম কেন? মেম্বার এবং কাউন্সিলরের ক্ষেত্রে নির্দলীয়, আবার চেয়ারম্যান ও মেয়রের ক্ষেত্রে দলীয়—এটা তো একটা জগাখিচুড়ি। এটা কোনোভাবেই যৌক্তিক না। আমি দুর্ভাগ্যবশত সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমর্থন করতে পারি না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে সেখানে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে সুজনের সম্পাদক এসব কথা বলেন।
দলীয়ভিত্তিক নির্বাচন আমাদের বিপর্যয় ও সংকটের দিকে নিয়ে যাবে মন্তব্য করে সুজনের সম্পাদক বলেন, ‘এটা সারা দেশ থেকে ধ্বনি উঠেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কিছুটা পিছু হটেছে। কিন্তু আধাআধি অবস্থায় থামল কেন, এটা আমার কাছে বোধগম্য নয়।’
বদিউল আলম বলেন, ‘দলীয় ভিত্তিক নির্বাচনে কোনো যৌক্তিকতা নেই। বরং এর মাধ্যমে মনোনয়ন বাণিজ্য হবে, সন্ত্রাস হবে, পেশিশক্তির প্রয়োগ হবে। এবং শুধু তা-ই নয় বিরোধী দলের ক্ষেত্রে এমনকি ধরপাকড় বিভিন্ন রকমের সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর পক্ষ থেকে বাড়াবাড়ি হবে। যেটা আমাদের জন্য সমস্যা। আমাদের এমনিই সমস্যা আছে এই সমস্যাকে আরও জটিল করবে।’
মেহেরপুর জেলা সুজনের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা সুজনের সভাপতি আবদুর রশিদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
পৌরসভা আইন সংশোধনের জন্য স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) বিল ২০১৫ গত রোববার সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিলটি উত্থাপন করেন।
উত্থাপনের পর বিলটি তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। বিলটি পাস হলে ২ নভেম্বর পৌর আইন সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশ বাতিল হয়ে যাবে। ওই আইনে বলা হয়েছিল, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর পদে দলীয় পরিচয় ও প্রতীকে নির্বাচন হবে। আজ উত্থাপিত প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, শুধু মেয়র পদে রাজনৈতিক দলের পরিচয় ও প্রতীকে নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: