প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বিরুদ্ধে ‘বিএনপিকে ভয় দেখানোর’ অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিএনপি নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়বে—সিইসি এই কথা বলে বিএনপিকে ভয় দেখাচ্ছেন, যাতে বিএনপি শেখ হাসিনার অধীনে একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন রিজভী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বগুড়ায় এক সভা শেষে সিইসি কে এম নুরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি নিবন্ধন ঝুঁকির মুখে পড়বে। নির্বাচন কমিশন আশাবাদী, বিএনপি নির্বাচনে আসবে।
বিএনপিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল। অংশ নিয়েছিল ১২টি দল। বিএনপি ছাড়াও সিপিবি, গণফোরাম, বিকল্পধারা, এলডিপি ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, এই দলগুলো একাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করলে তারা নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়বে। তবে তার আগে কেন তারা নির্বাচনে যায়নি, সে ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাবে। আর সে কথা স্মরণ করিয়ে দিতেই সিইসি গতকাল ওই বক্তব্য দেন।
আজকের সংবাদ সম্মেলনের পুরোটা সময়জুড়েই সিইসির ওই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, এতগুলো ডাকাতির নির্বাচন হওয়ার পর সেই নির্বাচনগুলোকে সুষ্ঠু বলে অভিহিত করেছেন সিইসি। তিনি সরকারি দলের ভোট নিয়ে অনাচারের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থেকেছেন। সেই তিনি যে ক্ষমতাসীনদের ভাষাতেই কথা বলবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তাঁর এমন কথা শুনে মনে হয়, পাতানো নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেই সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন তিনি।
রিজভীর ভাষ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করাটাকে সিইসি কর্তব্য বলে মনে করেন না। আওয়ামী সরকারের প্রতি আনুগত্যই তাঁর শেষ কথা।
সাবেক ছাত্রনেতা রিজভী বলেন, জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলকে কাগুজে নিবন্ধনের ঝুঁকির কথা বলে লাভ হবে না। জনগণের বিচারই রাজনৈতিক দলের টিকে থাকার মাপকাঠি।