ডাকসু ভোটে সাতসকালে দীর্ঘ লাইন

দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। একই সঙ্গে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হল সংসদের নির্বাচন।

সকাল আটটায় ভোট শুরু হয়েছে। একটানা বেলা দুইটা পর্যন্ত চলবে।

ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রদের ভিড়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, ১১ মার্চ। ছবি: দীপু মালাকার

সকাল আটটায় বিজয় একাত্তর হলে গিয়ে দেখা যায় ভোটারদের লম্বা লাইন। ঠিক আটটার দিকে ভোটকক্ষে উপস্থিত প্রার্থীদের সামনে ব্যালট বাক্স খুলে দেখান নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা।

খালি ব্যালট বাক্স সবাইকে দেখানোর পর তা সিলগালা করা হয়।

ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রদের ভিড়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, ১১ মার্চ। ছবি: দীপু মালাকার

বিজয় একাত্তর হল সংসদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও হল প্রাধ্যক্ষ এ জে এম শফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, প্রার্থীদের সামনেই ব্যালট বাক্সগুলো খুলে দেখানো হয়েছে। কেউ যেন এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করতে না পারে। ভোট গ্রহণ শেষে আবার সবার সামনে সেটি খোলা হবে। তিনি বলেন, এর স্বচ্ছতা নিয়ে আর কোনো প্রশ্নের সুযোগ নেই।

এরপরই শুরু হয় বহু প্রতীক্ষার ভোট।

ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রদের ভিড়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, ১১ মার্চ। ছবি: দীপু মালাকার

নিয়ম অনুযায়ী, আবাসিক হলগুলোয় এই ভোট গ্রহণ হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাঁর যাঁর হলে ভোট দিচ্ছেন।

রোকেয়া হলে ছাত্রীদের ভিড়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, ১১ মার্চ। ছবি: দীপু মালাকার

বিজয় একাত্তর হলে ভোট দিয়ে বের হয়ে এসে এস এম লতিফুল খাবির নামের এক প্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ভোট নিয়ে এখন পর্যন্ত তিনি কোনো সমস্যা দেখেননি। তিনি এই হল সংসদে প্রগতিশীল ছাত্রঐক্যের ব্যানার থেকে সংস্কৃতি সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন। তবে ৩৮টি (ডাকসু ও হল সংসদ মিলে) ভোট দিতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগছে বলে তিনি জানান। এ কারণে বেলা দুইটার মধ্যে সব ভোটারের ভোট নেওয়া শেষ করা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি।

বিজয় একাত্তর হলে ভোট শুরুর আগে প্রার্থীদের সামনে ব্যালট বাক্স খুলে দেখানো হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, ১১ মার্চ। ছবি: মোশতাক আহমেদ

এই নির্বাচনে প্রচার পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও শেষ মুহূর্তে অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে (স্টিলের বক্স) ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানানো, ভোটকক্ষে প্রার্থীদের এজেন্ট না রাখাসহ বেশ কিছু অভিযোগের কারণে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য প্রায় সব প্রার্থী সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ডাকসু নির্বাচন ঘিরে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, ১১ মার্চ। ছবি: মোশতাক আহমেদ

বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্যানেল ও স্বতন্ত্র অবস্থান থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ২১ জন শিক্ষার্থী। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন।

ছাত্রলীগ থেকে ভিপি পদে রেজওয়ানুল হক ও জিএস পদে গোলাম রাব্বানী, ছাত্রদল থেকে ভিপি পদে মোস্তাফিজুর রহমান ও জিএস পদে আনিসুর রহমান খন্দকার, প্রগতিশীল ছাত্রঐক্য থেকে ভিপি পদে লিটন নন্দী, জিএস পদে ফয়সাল মাহমুদ, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে ভিপি পদে নুরুল হক ও জিএস পদে রাশেদ খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।