কুড়িগ্রাম-৩ আসনের (উলিপুর) জাতীয় পার্টির সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী এ কে এম মাঈদুল ইসলামের কয়েক দফায় জানাজা শেষে আগামী রোববার ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা ঢাকার আসাদগেট নিউ কলোনি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তাঁর বন্ধু-স্বজন, দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মুসল্লিরা অংশ নেন।
মাঈদুল ইসলামের ছোটভাই বিএনপি নেতা তাসভীর উল ইসলাম বলেন, কাল শনিবার তাঁর ভাইয়ের মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হবে। উলিপুর স্টেডিয়াম মাঠে সকাল সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় জানাজ সম্পন্ন হবে। তারপর মরদেহ নেওয়া হবে হবে ঢাকায়। রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল ১১টায় তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদ প্রাঙ্গণে চতুর্থ জানাজা শেষে বাদ মাগরিব বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে জাতীয় পার্টির সাংসদ এ কে এম মাঈদুল ইসলাম শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি দুই ছেলে এক মেয়েসহ অংসখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও ফুসফুসজনিত রোগে ভুগছিলেন। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে গত ২২ এপ্রিল ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলামের মৃত্যুতে অন্যদের মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম শোক জানিয়েছেন।
ভারতের আসামের কোকড়া ডাঙ্গার সুখের চরে ১৯৪০ সালের ২৯ মে জন্মগ্রহণ করেন মাঈদুল ইসলাম। তাঁর বাবা প্রয়াত আবুল কাসেম পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। মাঈদুল ইসলাম ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এরপর তিনি ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে কুড়িগ্রাম-৩ আসন (উলিপুর) এমপি হিসেবে নির্বাচিত হোন।