আওয়ামী লীগের আগের দুই সরকারের মন্ত্রিসভায় শরিক দলের একাধিক সদস্য ছিলেন। যে কারণে ধরে নেওয়া হয়েছিল এবারও থাকবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ঘোষিত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী তালিকায় শরিক দলের কোনো নেতার নাম নেই।
আজ বিকেল চারটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সরকারের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম পড়ে শোনান। ৪৭ সদস্যের এই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীসহ ২৫ মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। ৪৭ জনের সবাই আওয়ামী লীগের।
২০০৮ সালের মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন পর্যায়ে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু, জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া। ২০১৪ সরকারেও হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, মশিউর রহমান রাঙ্গা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
কিন্তু সদ্য ঘোষিত নতুন মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট বা ১৪ দলীয় জোটের কোনো শরিক দলের কাউকে স্থান দেওয়া হয়নি। এমনকি সরকারি দলের প্রবীণ নেতারা এই তালিকায় নেই। আজ যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, এদের বেশির ভাগই নতুন মুখ। যদিও দু-একজন ছাড়া বাকিরা সাংসদ হিসেবে সংসদে একাধিকবার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
সচিব শফিউল আলম জানিয়েছেন, কাল সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ হবে।
আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সরকার পক্ষের ধারণা ছিল বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি এক শ এর কাছাকাছি আসন পাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছে। দলটি নির্বাচিত সাংসদেরা শপথ নেয়নি এবং সংসদে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কারণে সরকার পক্ষ সংসদকে প্রাণবন্ত করতে শরিকদের বিরোধী দলের সারিতে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।