জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে বিএনপি শেষ মুহূর্তে দফায় দফায় বৈঠক করছে। মূলত, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের সঙ্গে আসন নিয়ে এখনো দর-কষাকষি চলছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে বিএনপি নিজেদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে। তারা ২০৬ জনকে চূড়ান্ত করেছে। বাকি ৯৪টি আসন জোটের শরিক ও আপিলের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া প্রার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার বিএনপির সব আসনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার কথা।
বিএনপি এবার ২০ দল ও নবগঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবে। ৯ ডিসেম্বর রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে শরিকদের বৈঠক চলছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিকেলে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বেইলি রোডে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের বাসায় যান। এ জোটের একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে গণফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অন্য শরিকদের আসনে ‘আপাতত’ সমঝোতা হলেও গণফোরামের সঙ্গে দর-কষাকষি এখনো চলছে। কামাল হোসেনের বাসার বৈঠকটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। রাতেই বিএনপির গুলশান অফিসে সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সুলতান মনসুরের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা আবারও বৈঠকে বসেছেন। এ ছাড়া আলাদাভাবেও দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির নেতারা
জোটের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিএনপি থেকে গণফোরামকে ৬টি, নাগরিক ঐক্যকে ৪টি, জেএসডিকে ৩টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে ২টি আসন দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু গণফোরাম আরও কয়েকটি আসন চায়। গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ঢাকা-৬ আসন থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন। একই আসনে বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন মনোনয়ন নেন। নাগরিক ঐক্যকে যে আসনগুলো দিতে চাইছে, সেগুলো নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নয়। এ ছাড়া জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগও আরও কয়েকটি আসন চায়।