গত তিন দিন নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও সফর করে এসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তিনি বিজয়ের আশা দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি মানুষের মধ্যে কী অভূতপূর্ব সাড়া। মানুষ নিজের শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যখনই শুরু হবে আন্দোলন, সরকারকে পরাজিত করার যুদ্ধ, তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে—এই নিশ্চয়তা আমি দেখেছি।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। ২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ১ হাজার ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরিচ্যুতির ১০ বছরপূর্তিতে ‘চাকরিচ্যুতদের মানবেতর জীবনযাপন’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা একা নন, আমরা আছি আপনাদের সঙ্গে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব এবং জয়ী হব ইনশা আল্লাহ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কখনোই ভেঙে পড়বেন না, সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে থেকে তো আমাদের জেগে উঠতে হবে, আমার আশপাশের মানুষগুলোকে জাগাতে হবে। আজকে যারা তরুণ যুবক আছেন, তাদের জাগাতে হবে। এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই এবং সেটা দ্রুত করতে হবে। কারণ, যত দিন যাবে, ততই বাংলাদেশ, জাতি সব বিনষ্টের পথে যাবে।’
আজ ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে যদি আমরা প্রতিরোধ করতে না পারি, তাদের যদি আমরা ব্যর্থ করে দিতে না পারি, তাহলে এই অবস্থা কিন্তু চলতেই থাকবে। আমাদের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না।’
আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুতদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজিবুর রহমান, আজিজুল হক, ঊর্মি রহমান, নুরুন্নাহার লাকী প্রমুখ।