লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনটি শরিকদের ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। উভয় দলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তে শরিক দলের প্রার্থী দেওয়া হলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে কাজ করতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
এ আসনে শেষ মুহূর্তের আলোচনায় রয়েছেন দুই ফ্রন্টের প্রার্থী। তাঁরা হচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও যুক্তফ্রন্টের শরিক বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান।
আ স ম আবদুর রবের পক্ষে এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ আসনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়টিকে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আসনটি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের হাতছাড়া হওয়ার ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সাংসদ এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, আসনটি দলীয় প্রার্থী দিয়েই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে তাঁরা যাবেন না। যাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তাঁর পক্ষেই কাজ করবেন তাঁরা।
তবে কমলনগর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল ওদুদ হাওলাদার বলেন, দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হতাশ করবে। তাঁরা আশাহত হবেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান সাংসদ মো. আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সহসম্পাদক আবদুজ্জাহের সাজু প্রার্থিতার বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করার কথা বললেও দলটির মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তাতে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের দাবি জানিয়েছেন।
কমলনগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পি বলেন, এতে নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়বেন। আর জাতীয় নির্বাচনে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে।