রোকেয়া হলে বাক্সে সিল না-মারা ব্যালট, ভোট গ্রহণ স্থগিত

অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল আটটা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদগুলোর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

রোকেয়া হলের তিনটি ব্যালট বাক্স ভেঙে ব্যালট পেপার বের করেন ছাত্রীরা। ছবি: দীপু মালাকার

রোকেয়া হলের ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, হলে মোট নয়টি ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার সময় ছয়টি ব্যালট বাক্স দেখানো হয়। এ নিয়ে শুরু থেকেই তাঁদের মধ্যে সন্দেহ করছিল, বাকি তিন ব্যালট বাক্স গেল কোথায়। এ নিয়ে ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। পরে তাঁরা জানতে পারেন, পাশের একটি কক্ষে ওই তিনটি ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে। পরে ছাত্রীরা কক্ষটির দরজা ভেঙে ওই তিনটি ব্যালট বাক্স বের করে বাইরে নিয়ে আসেন। পরে তাঁরা ওই ব্যালট বাক্সগুলোর তালা ভেঙে দেখেন, সেগুলোয় ব্যালট পেপার ভরা। তবে সেগুলোয় ভোট দেওয়া ছিল না। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এত ব্যালট পেপার কেন? সেগুলো লুকিয়েই–বা রাখা হবে কেন?

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে ভোট গ্রহণ স্থগিত আছে। এর আগে সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে রোকেয়া হলে আসেন ছাত্রলীগ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার আন্দোলনের প্রার্থীসহ আরও বেশ কয়েকজন প্রার্থী। পরে সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার আন্দোলনের ভিপি প্রার্থী নুরুল হককে মারধর করেন ওই হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

এখন হলের ভেতরে ছাত্রীরা এ ঘটনার পর থেকে বিক্ষোভ করছেন।

রোকেয়া হলের তিনটি ব্যালট বাক্স ভেঙে ব্যালট পেপার বের করেন ছাত্রীরা। ছবি: দীপু মালাকার

রোকেয়া হলের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা হলের হাউস টিউটর দিলারা জাহান প্রথম আলোকে বলেন, রোকেয়া হলে মোট ভোটার ৪ হাজার ৬০০। এর মধ্যে দুই হাজার বেশি ব্যালট ভোট কক্ষে আনা হয়। বাকিগুলো পাশে রাখা হয়েছিল। এগুলো শেষ হলে পরে সেগুলো নিয়ে আসা হতো। কিন্তু সেগুলো কে বা কারা ভেঙে ছিনতাই করল।

দিলারা জাহান বলেন, এখন স্যারেরা এসেছেন। কিছুক্ষণ পর ভোট গ্রহণ শুরু হবে।