২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলাকে ‘আওয়ামী রাজনীতির কুটিল পাটিগণিত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারপ্রক্রিয়ারও সমালোচনা করেন।
রিজভী বলেন, ২১ আগস্ট বোমা হামলার পুরো বিষয়টাই একটি প্রহেলিকা। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার দেশীয় ও বৈদেশিক চক্রান্তের বিপজ্জনক ব্লুপ্রিন্ট। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার নানাবিধ ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট বোমা হামলা মামলায় সরকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে আইন-আদালতকে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলার নিম্ন আদালতের বিচারকাজ শেষ। রায় ঘোষণা হবে আগামী ১০ অক্টোবর। গত মঙ্গলবার আইনি বিতর্ক শেষ হওয়ার মাধ্যমে এই মামলার বিচারকাজ শেষ করে রায়ের তারিখ রাখেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।
২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভী রহমানসহ ২৬ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। ভয়াবহ ওই হামলায় আহত হন তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রিজভী আজ তাঁর বক্তব্যে ২১ আগস্ট হামলার তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, চুক্তিভিত্তিক তদন্তকারী কর্মকর্তা কাহার আকন্দকে দিয়ে তথাকথিত নিখুঁত ও গভীর তদন্ত কার্যক্রম চালাতে গিয়ে সরকারি অনেক দলিল-দস্তাবেজ হয় গায়েব অথবা সৃজন পরিবর্তন করা হয়েছে।
রিজভীর বক্তব্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সম্প্রতি প্রকাশিত বইটির প্রসঙ্গও উঠে আসে। রিজভী বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রন্থে এস কে সিনহার প্রতি সরকারের আচরণের যে ঘটনাগুলো বেরিয়ে আসছে, তাতে দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় বইছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্যই তাঁকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, গত তিন-চার দিনে রাজধানীর দুটি থানায় সাতটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির আইনজীবীসহ দল ও অঙ্গ-সংগঠনের প্রায় ১ হাজার ৫০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে ১ হাজার ৬০০-এর বেশি নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে।