আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন নাকি মির্জা ফখরুলের চোখে পড়ে না। মির্জা ফখরুলের চোখে হয় ছানি পড়েছে, না হয় হিংসায় কাতর হয়ে নানা কথা বলছেন।’
আজ রোববার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদের ওপর ‘শহীদ গোলাম কিবরিয়া’ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে হানিফ এ কথা বলেন। শহীদ গোলাম কিবরিয়া বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। পরে কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ‘উন্নয়ন দেখতে হলে আপনি (ফখরুল) কুষ্টিয়ায় আসেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অবদানে কুষ্টিয়ায় যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, আপনি সেটা দেখে যান। তাহলে বুঝবেন সারা দেশে কী পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে।’
হানিফ উদাহরণ টেনে বলেন, ‘পাশের বাড়ির লোকজন যখন ফ্রিজ, টিভি কিনে আনে, তখন প্রতিবেশী কিনতে না পারলে তার মধ্যে হিংসা হয়। এখন এই হিংসা কাজ করছে মির্জা ফখরুলদের মধ্যে। হিংসা তো হওয়ার কথা। কারণ তাঁরা ক্ষমতায় থাকাকালীন ম্যাডাম জিয়া এবং তাঁর ছেলে মিলে দেশটাকে দুর্নীতিতে সয়লাব করে ফেলেছিলেন। একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী হাওয়া ভবন বানিয়ে সরকারের মধ্যে আরেক প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসেন।’
হানিফ আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল দেশের মানুষকে গণতন্ত্র শেখাতে আসেন। ওনার কাছ থেকে কি গণতন্ত্র শিখতে হবে? বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা–কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের এমপিদের হত্যা করা হয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাদের মুখে গণতন্ত্র। বিএনপির গণতন্ত্র্র মানেই আগুন–সন্ত্রাস ও মানুষ পোড়ানো। বিএনপির গণতন্ত্র মানেই দুর্নীতি আর লুটপাট।’
কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্নান খানের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাংসদ আ ক ম সরওয়ার জাহান, কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী ও কুমারখালী পৌর মেয়র শামসুজ্জামান অরুণ।