মালিকের লোভে হতাহত হয়েছে মানুষ

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের জন্য এর মালিককে দায়ী করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। অনুমোদন না নিয়ে এখানে বেশি তলা তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

আজ শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিল (ডব্লিউসিসি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্বোধনী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

এফআর টাওয়ারের মতো দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের কথা উল্লেখ করে সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভবনটি ‘নির্মাণ বিধি (বিল্ডিং কোড)’ অনুসরণ করে নির্মিত নয়। অনুমোদনবিহীন বেশি তলা নির্মিত এ ভবনে বিধিমোতাবেক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও ছিল না। অর্থাৎ মালিকের লোভের আগুনে পুড়ে হতাহত হয়েছে নিরীহ মানুষ। এর পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, এ বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।’

ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিলের উদ্যোগের প্রশংসা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নিজ দেশ, সংস্থা ও আত্ম-উন্নয়নের জন্য যোগাযোগের বিকল্প নেই। তৈরি পোশাক শিল্পে জিএসপি সুবিধা বাতিলের পরও বাংলাদেশ বিশ্ব প্রতিযোগিতায় এ শিল্পে তার প্রবৃদ্ধি অটুট রেখেছে, চীন আজ আমাদের প্রতিযোগী।’

তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়ে আজ প্রায় দুই হাজার ডলার। উচ্চ প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত রাখা পৃথিবীর প্রথম পাঁচটি দেশের অন্যতম বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশ যেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১ শরও বেশি মানুষের বাস, আর মানুষপ্রতি জমির পরিমাণ দেশে সর্বনিম্ন, যে দেশ পঞ্চাশের দশক থেকেই খাদ্য ঘাটতির দেশ, সেই বাংলাদেশ আজ খাদ্য রপ্তানির দেশ।’


ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিল-বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী কমিটির সভাপতি এ এস এম আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অধ্যাপক গোলাম রহমান এবং পাবলিক রিলেশনস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (পিআরসিআই) চিফ মেন্টর ও চেয়ারম্যান ইমেরিটাস এম বি জয়রাম বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং পিআরসিআইয়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান বি এন কুমার, ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বি কে সাহু এবং কলকাতা চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ দাস অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য দেন। সমাপনী বক্তব্য দেন ডব্লিউসিসি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব আবীর শ্রেষ্ঠ।