বরিশালের গৌরনদীতে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়ক আটকে সমাবেশ ও কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। উপজেলার গয়না ঘাটা ব্রিজ এলাকায় গতকাল শনিবার এ কর্মসূচির সময় আধা ঘণ্টা ওই মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যানবাহনের যাত্রীদের।
তবে দুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়া এক নেতা।
প্রত্যক্ষদর্শী, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গয়না ঘাটা ব্রিজ এলাকায় ছাত্রলীগের প্রায় ৮–১০ হাজার নেতা–কর্মী জড়ো হয়ে সমাবেশ করেন। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মাহমুদ, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন ওরফে সুজন ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মো মিলন খলিফা। এ সময় মহাসড়কের ওপরে টেবিল বসিয়ে বিশাল আকারের একটি কেক কাটা হয়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহাড়কের দুই পাশে দূরপাল্লার যানবাহনসহ শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। প্রায় ৩৫ মিনিট মহাসড়ক আটকে কর্মসূচি পালন শেষে নেতা–কর্মীরা শোভাযাত্রা বের করেন। পরে শোভাযাত্রাটি গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় লোকজন জানান, মহাসড়কে এ ধরনের অনুষ্ঠান করলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে।
দূরপাল্লার বাসচালক আবু তালেব (৪৪), খবির হোসেন (৪৬) ও কাদের সরদার (৬০) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মহাসড়ক আটকে কেক কাটার এমন ঘটনা তাঁরা কখনো দেখেননি। এতে মানুষকে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
জানতে চাইলে সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মাহমুদ বলেন, ‘আমরা মহাসড়কের পাশে লিলা সিনেমা হলের সামনে সমাবেশ ডেকেছি। কিন্তু ৮ –১০ হাজার নেতা–কর্মী জড়ো হওয়ায় মহাসড়কে যানজট হয়েছে এবং অত্যুৎসাহী কিছু নেতা–কর্মী কেক কেটেছেন। অনিচ্ছাকৃত দুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি।’
এভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা প্রসঙ্গে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জোবায়েরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।’