মঙ্গা থেকে রংপুর এখন খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত অঞ্চল: যুবলীগ চেয়ারম্যান

আজ শুক্রবার রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল মাঠে অসহায়-দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সরকারের আগে অজানা কারণে কখনোই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ব্যাপারে কোনো সরকার আগ্রহ দেখায়নি বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, রংপুর বিভাগকে একসময় মঙ্গাকবলিত ও পশ্চাৎপদ ভাবা হতো। গত ১৩ বছরে সে অবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। রংপুর বিভাগ এখন খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত একটি অঞ্চল।

আজ শুক্রবার বনানী মডেল স্কুলমাঠে অসহায়ও দুস্থ মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় রংপুর বিভাগের ৯টি জেলা শাখার নেতাদের কাছে শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল হস্তান্তর করেন তিনি। পাশাপাশি বনানী মডেল স্কুলমাঠেও প্রায় এক হাজার শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।

ফজলে শামস পরশ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে রংপুরকে প্রশাসনিক বিভাগের মর্যাদা দেন। সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের কাজ চলছে। এটি রংপুর বিভাগের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারে রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এখন রংপুরে আর মঙ্গা দেখা দেয় যায় না। মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নও হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল গঠনের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বাকশালের মূলে ছিল মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা। ন্যায়পরায়ণ সমাজব্যবস্থা কায়েম এবং মানবিকতা। কেউ কেউ বাকশাল নিয়ে বিব্রত বোধ করে। কেউ কেউ এড়িয়ে যেতে চান। কিন্তু বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার বিষয় নয়। তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব কি কখনো রাজনৈতিক মিথ্যাচার, শঠতা ও চাণক্যনীতির আশ্রয় নিয়েছেন? না, কেউ তা বলতে পারবে না। তাহলে গুরুতর অন্তর্ঘাতমূলক অবস্থার প্রেক্ষাপটে একটা দুঃসহ অবস্থা মোকাবিলায় তাঁর নেওয়া সাময়িক ব্যবস্থা নিয়ে যারা তাঁকে সন্দেহ করে এবং ভুল বোঝে, দেশের স্বাধীনতা অর্জনে তাদের ত্যাগ কতটুকু? আজীবন সংগ্রামী শেখ মুজিবের চেয়েও বেশি?’

অনুষ্ঠানে যুবলীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, বিশ্বাস মুতিউর রহমান, রফিকুল আলম জোয়ার্দার, মাজহারুল ইসলাম, সোহেল পারভেজ, রেজাউল কবির, জাকির হোসেন, মাইন উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন, এইচ এম রেজাউল করিম, জয়দেব নন্দী প্রমুখ।