ভোট চাওয়ার মুখ বিএনপির নেই: কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বাসস

জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো কোনো মুখ বিএনপির নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ সকালে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো বিএনপির এমন কোনো মুখ নেই। তাই তারা আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে নতুন নতুন ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে।

আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সব অপশক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অর্জনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। তাই সবাইকে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।

বিএনপির রাজনীতি মাঠে নয়, তাদের রাজনীতি এখন মিডিয়ানির্ভর উল্লেখ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। কে অংশ নিল, কে নিল না, তা দেখার কিছু নেই, কারণ নির্বাচন কারও জন্য বসে থাকবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা দিলেই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ। আর জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা না দিলে নিরপেক্ষ নয়।

বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ না নিলেও ঘোমটা পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা নির্বাচনে হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে ষড়যন্ত্র করছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলের মধ্যে যারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে জেলা কমিটিকে কারণ দর্শানো (শোকজ) ও প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুঃসময়ের ত্যাগীদের কমিটিতে রাখার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, তাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। ভাড়া করে খারাপ লোকদের দলে এনে দল ভারী করার কোনো দরকার নেই। সুসময়ে অনুপ্রবেশকারীরা দলে প্রবেশ করলে দলের ভেতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। তাই এদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

ইউপি নির্বাচনে দলের মনোনয়ন যাঁরা পাননি, তাঁরা দলের নিয়ম না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন এবং নেপথ্যে মদদ দিচ্ছেন—তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুল কুদ্দুছ এমপি, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি বক্তব্য দেন।