পর্দা দিয়ে ঘেরা গোপন কক্ষে উঁকি মারছেন তিনি। তাঁর সামনেই বড় পোস্টারে সবুজ ও লাল রঙে লেখা ভালো কাজ ও মন্দ কাজের তালিকা ঝোলানো। তিনি একজন পোলিং কর্মকর্তা। গোপন কক্ষে ভোটার ছাড়া কারোর প্রবেশ বা দেখার সুযোগ নেই। নিষেধের আওতায় পড়া এই খারাপ কাজ সম্পর্কে পোলিং এজেন্টের দাবি, তিনি ভোটারদের সহযোগিতা করছেন।
আজ বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা বুথে গিয়ে এই পোলিং কর্মকর্তাকে দেখা যায়। তাঁর নাম–পরিচয় জানতে চাইলে তিনি তা জানাননি। তবে ওই ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, অনেকেই বয়স্ক ভোটার, যাঁরা ভেতরে গিয়ে ভোট দিতে পারছেন না। তাঁদের নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। একজন ভোটার না বুঝে ভোট দিতে গিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় নিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে অর্ধেক বোর্ড কাস্টিং করা সম্ভব হবে না।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
এ বিষয়ে ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গোপন কক্ষে এভাবে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে ভেতরে গিয়ে কেউ না বুঝলে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সব প্রার্থীর এজেন্ট রয়েছেন।
দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী ভোটার কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৫৪৩। এখানে প্রথম দুই ঘণ্টায় ২০৮টি ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। পাশের পুরুষ ভোটার কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট গ্রহণ হয়েছে ১৮১টি। সেখানে ভোটার আছেন ১ হাজার ৫৮৫ জন।