ভোটে আসায় সব দলকে ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীর

এমন নানা ধরনের নৌকা এসেছে আজকের উৎসবে। দীপু মালাকার
এমন নানা ধরনের নৌকা এসেছে আজকের উৎসবে। দীপু মালাকার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসবের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে এ সমাবেশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের রায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধেম, মাদকের বিরুদ্ধে । শেখ হাসিনা বলেন, বিজয় অর্জন করা কঠিন। রক্ষা করা আরও কঠিন।

বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে ভাষণ শুরু করেন শেখ হাসিনা। তিনি প্রথমেই ৩০ লাখ শহীদ, স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানান।

শেখ হাসিনা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ‘বিজয় উৎসবের’ মঞ্চে এসে পৌঁছান ৩টা ৫ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক ঘটনার সাক্ষী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। শুরুতেই পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়। প্রথম বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।

এসব মিছিল গিয়ে মিলেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ছবি: দীপু মালাকার

পরে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, মো. নাসিম। অভিনন্দতন পত্র পাঠ করেন সাধারণ সম্পাক ওবায়দুল কাদের।

বেলা আড়াইটায় বিজয় উৎসবের সময় নির্ধারণ থাকলেও সকাল ১০টা থেকেই আজকের উৎসবস্থল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লোকারণ্য হয়ে ওঠে। জয় বাংলা স্লোগানে উদ্যান মুখরিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের ‘বিজয় উৎসব’ আজ।

উৎসবে যোগ দিতেই আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে সকাল থেকেই ছিল জনস্রোত।

মঞ্চে এখন গান গাইছেন মমতাজ। তিনি ‘শুকরিয়ারে শুকরিয়া, কোটি কোটি শুকরিয়া/ বঙ্গবন্ধুর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়া’ গানটি দিয়ে শুরু করেন। এখনো গাইছেন তিনি। এর আগে গান গেয়ে শোনান রফিকুল আলম, ফকির আলমগীর, জানে আলম, পথিক নবী, আঁখি আলমগীর, সালমা এবং জলের গান। মূল পর্বের আগে গান গাইবেন ‘জিতবে আবার নৌকা’র শিল্পীরা।

স্লোগানে মুখর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ছবি: দীপু মালাকার

সকাল থেকেই সভাস্থলে আসা কর্মী-সমর্থকদের অনেকের গায়ে ছিল লাল-সবুজ টি-শার্ট। সবুজ, হলুদ আর লাল টুপি মাথায়। হেঁটে, পিকআপ, ট্রাক ও বাস করে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা যাচ্ছেন সমাবেশস্থলে। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা ছুটছেন সোহরাওয়ার্দীর দিকে। অনেকের হাতে আছে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা।

সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশস্থলে ঢোকার একাধিক ফটকে দেখা গেছে ব্যাপক ভিড়। উদ্যানের ঢোকার আগে তল্লাশি চলেছে সবার। মঞ্চের আশপাশে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা ও বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। ফটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনার ছবি ও এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অর্জনের ছবি রাখা হয়েছে।