চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের মতবিনিময় সভায় এই অভিযোগ করেন নোমান। আজ শনিবার দুপুরে নগরের জামালখানের একটি রেস্তোরাঁয় এ সভা হয়। সভায় নগর বিএনপির সভাপতি আবু সুফিয়ান ইভিএমে ভোট নিয়ে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে শঙ্কার কথা তুলে ধরেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় আমরা যেটা দেখেছি, মানুষ জেগে উঠেছে। মানুষের জোয়ারের কাছে ইভিএম–ষড়যন্ত্র খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে। আতঙ্ককে জয় করে মানুষ যখন মাঠে নেমেছে, তাহলে ইভিএম নিয়ে কারচুপির ষড়যন্ত্র করে পার পাওয়া যাবে না। ভোটে কোনো কারচুপি হলে আমরা জনগণকে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’
ভোটার এবং বিএনপি নেতা–কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘হুমকির বিষয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। আমি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে যাতে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়, সে জন্য প্রশাসনকে চোখ খোলা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘সব চক্রান্ত–ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আগামী সোমবার জনগণের বিজয়, ভোটারের বিজয় নিশ্চিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে মতবিনিময় সভায় আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, নেতা-কর্মীদের নামে হয়তো বিভিন্ন থানায় মামলা হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার বোয়ালখালীতে নৌকার একটি ক্যাম্পে সাজানো আগুন দিয়ে পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তাক আহমেদ খানসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছে।’
সুফিয়ান আরও বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনের দিন এলাকায় না থাকার জন্য, ভোটের কাজে অংশগ্রহণ না করার জন্য হুমকি চলছে।’
আবু সুফিয়ান বলেন, ‘মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস আছে। তবে আতঙ্কও আছে, ভোট দিতে পারবে কি না। আমরা সেই আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা করেছি। প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি, নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। তাঁরা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে জনগণের ভোট দিতে পারবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন। তাঁদের আশ্বাসে আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই।’
নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আমার আসনসহ বাংলাদেশের মোট ছয়টি আসনে ইভিএমে নির্বাচন হয়েছে। প্রতিটি আসনে আমিসহ আমাদের সব প্রার্থীকে হারানো হয়েছে। সে জন্য এই ইভিএম এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এই শঙ্কার কথা আমরা কয়েক দিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে তুলে ধরেছিলাম।’
শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠু হবে কি না, সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে আশঙ্কা আছে। জনগণের মধ্যেও ইভিএম নিয়ে আতঙ্ক আছে।’