কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে। এখান থেকে নির্বাচনের সর্বশেষ ফলাফল প্রকাশ হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত) আজ বুধবার সকাল আটটার পরে ভোট দিয়েছেন। সকাল ১০ টার দিকে আরফানুল হকের ভোট দেওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগেই তিনি ভোট দেন।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল নয়টা। সারিতে দাঁড়ানো শত শত নারী ভোটার। সারি বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ছাড়িয়ে বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত। হঠাৎ বৃষ্টি নামে। শুরু হয় ছোটাছুটি। কেউ বৃষ্টির মধ্যে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছেন।
প্রিসাইডিং অফিসার তপন কুমার দাস বলেন, এটি মহিলা ভোটকেন্দ্র। বিপুল সংখ্যক ভোটার। বৃষ্টি এসে ঝামেলায় পড়েছেন ভোটাররা।
কুমিল্লা নগরের হোচ্ছামিয়া লুৎফুন্নেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বড় পুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৪ নং ওয়ার্ডের মুরাদপুর অহিদউল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে সারিতে নারী পুরুষ।
কাটাবিল মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে বৃষ্টিতে ভিজে নৌকার ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকাচ্ছেন আমজাদ হোসেন নামের এক কর্মী। তিনি বলেন, দলের জন্য খাটছি। বৃষ্টি কিছু না।
সকাল ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিল এখানে। ভোট উৎসবে আজ বুধবার বড় বাধা এখন পর্যন্ত বৃষ্টিই। কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ভাল।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল ভূইয়া বলেন, বৃষ্টি হবে। আষাঢ়ের প্রথম দিন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ কেন্দ্রে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ভোট দিয়েছেন মনিরুল হক (সাক্কু)। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের পরিবেশ ভালো, ইভিএমে ধীরগতি নিয়ে অভিযোগ আছে। শেষ পর্যন্ত ভোট সুষ্ঠু হলে জয়ী হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। প্রশাসনের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার বিষয় অস্বীকার করেন তিনি।
নির্বাচনে মনিরুল হকের প্রতীক টেবিল ঘড়ি।
কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে ভিক্টোরিয়া কলেজ কেন্দ্রে আজ বুধবার সকাল পৌনে নয়টায় ভোট দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজামউদ্দিন কায়সার। ভোট দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সন্তোষজনক।
কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকাল থেকে প্রায় সব কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল মোটামুটি। তবে বৃষ্টির পর ভোট দিতে অপেক্ষমাণ ভোটাররা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে পড়েন। স্কুলের সেডগুলোতেও ঢুকে পড়তে দেখা গেছে ভোটারদের।
সকাল নয়টার দিকে কুমিল্লা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে মোটামুটি বড় সারি ছিল ভোটারদের। এ সময় হঠাৎ শুরু হলো বৃষ্টি। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারেরা কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকে পড়েন। অনেকে আবার আশ্রয় নেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সেডে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম ভোটে মেয়র হয়েছিলেন সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক (সাক্কু)। পরপর দুবার এ পদে জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। তিনি জীবনে কোনো নির্বাচনেই হারেননি। আজ বুধবারের ভোট মনিরুলের জন্য বড় পরীক্ষা। জয়ী হলে হ্যাটট্রিক করবেন, হারলে জীবনে পরাজিত হওয়ার স্বাদ পাবেন। এ নির্বাচনে মনিরুল হকের প্রতীক টেবিল ঘড়ি।
সকাল ৯টার দিকে কুমিল্লায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এরই মধ্য চলছে ভোট।
মেয়রপ্রার্থী পাঁচজন, নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত), বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক (সাক্কু) স্বতন্ত্র প্রার্থী, এই দুজনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের এটি তৃতীয় নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী পাঁচজন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন গত দুবারের মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক (টেবিল ঘড়ি) ও আওয়ামী লীগের আরফানুল হক (নৌকা)। অন্য তিনজন হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন (ঘোড়া) ও কামরুল আহসান (হরিণ)। এর মধ্যে মনিরুল হক বিএনপির ও নিজামউদ্দিন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছিলেন। সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় দুজনকেই বহিষ্কার করে বিএনপি।
সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর হিজড়া ভোটার দুজন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এতে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী হয়েছেন।
এবার তৃতীয়বারের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সিটির দ্বিতীয় নির্বাচন হয় ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ইভিএমে একটনা ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর হিজড়া ভোটার দুজন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এতে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী হয়েছেন।
কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে এবার মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক (রিফাত)। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও সিটির সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক (সাক্কু) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন টেবিলঘড়ি নিয়ে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহন চলছে। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ১০৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে চলছে ভোটগ্রহণ।
আজ সকালে নগরীর ৫নং ওয়ার্ড কুমিল্লা হাইস্কুল মহিলা ভোটার কেন্দ্রে শুরুতেই ইভিএমে সমস্যা দেখা দেয়। ১নং বুথে ইভিএমে ভোট দিতে সমস্যায় পড়েন ভোটাররা।এ কারণে প্রায় ১৫ মিনিট কোনো ভোট দিতে পারেননি ভোটাররা। পরে সমস্যার সমাধান হয়।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, একটি মেশিনের মনিটরে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ভোটগ্রহনে ১৫ মিনিট দেরি হয়। কেন্দ্রে অতিরিক্ত ইভিএম ছিল, যা ব্যবহার করে ভোট শুরু হয়। এখন স্বাভাবিকভাবে চলছে ভোটগ্রহণ।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহন চলছে। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ১০৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে চলছে ভোটগ্রহণ। এরই মধ্য বৃষ্টিও হয়েছে।
সংরাইশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে বহিরাগতদের জটলা ছিল। বিজিবি তাদের ধাওয়া দেয়।
বিদ্যুৎ না থাকায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চৌয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ প্রায় বন্ধ রয়েছে। মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে ভোটকক্ষের ভেতরে আলো কম। বিদ্যুৎ না থাকায় ভোটারের পরিচয় যাচাই, ইভিএমে প্রতীক চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক ভোটারদের সমস্যায় পরতে হচ্ছে।
ইভিএম মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াও ভোট নেওয়া যায়। কিন্তু মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে ভোট কক্ষ অন্ধকার। ভোট শুরুর পর প্রথম ঘন্টায় এই কেন্দ্রে ভোট পড়ে ২৩১টি। ৯টা ১০ মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর থেকে ভোট নেওয়া প্রায় বন্ধ রয়েছে। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ২৮ জন।
এই কেন্দ্রের সকাল আটটায় ভোট দিতে আসেন ৬৫ বছর বয়সী লুৎফা বেগম। বেলা ১০টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে পারেননি। অসুস্থবোধ করায় ভোট না দিয়েই তিনি চলে যান। লুৎফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এতক্ষণ দাঁড়ায় ভোট দিতে পারলাম না। বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছে।’
কুমিল্লা বিভিন্ন ভােটকেন্দ্রে জাল ভোট প্রদান, গোলযোগের চেষ্টার অভিযোগে ছয়জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। অপর পাঁচজনকে ৩ থেকে এক সপ্তাহের সাজা দেওয়া হয়।
কুমিল্লা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ছয়জনকে সাজা দেওয়া হয়। এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংরাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে পাঁচ বহিরাগতকে সকাল সোয়া ১০ টায় আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, বিজিবি ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বহিরাগতদের এলাকা ছাড়ার জন্য মাইকিং করেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট গ্রহন চলছে। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ১০৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে চলছে ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরই মধ্য বৃষ্টিও হয়েছে।
এদিকে চৌয়ারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে নৌকার ব্যাজ পরে অনেকেই জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বেলা পৌনে ১১টায় এই কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি। তিনি জটলায় দাঁড়িয়ে থাকা অনেকের গলা থেকে ব্যাজ খুলে নেন। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কেন্দ্রের সামনে থেকে জটলাধারীদের সরিয়ে দেন। এই কেন্দ্রটি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত।
গোপন কক্ষে এভাবে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে ভিতরে গিয়ে কেউ না বুঝলে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সব প্রার্থীদের এজেন্ট রয়েছেদৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা বুথে এক পোলিং কর্মকর্তাকে উঁকি দিতে দেখা গেল। নাম পরিচয় জানতে চাইলে তিনি তা জানাননি। তবে ওই ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেকেই বয়স্ক ভোটার, যারা ভিতরে গিয়ে ভোট দিতে পারছেন না। তাদের নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। একজন ভোটার না বুঝে ভোট দিতে গিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় নিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে অর্ধেক বোর্ড কাস্টিং করা সম্ভব হবে না’।
এ বিষয়ে ওই ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গোপন কক্ষে এভাবে উঁকিঝুঁকি দেয়ার সুযোগ নেই। তবে ভিতরে গিয়ে কেউ না বুঝলে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সব প্রার্থীদের এজেন্ট রয়েছে।
দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৫৪৩ জন। এখানে প্রথম দুই ঘন্টায় ২০৮ টি ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। পাশের পুরুষ কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট গ্রহণ হয়েছে ১৮১ টি। সেখানে ভোটার আছেন ১ হাজার ৫৮৫জন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট গ্রহন। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ১০৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে এ ভোট শেষ হবে বিকেল ৪টায়।
এদিকে ভোট দিতে প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হলো ৮০ বছর বয়সী এক ভোটারকে। পদুয়ার বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আব্দুল হাকিম লাইনে দাঁড়ান ৮ টার পরেই। আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর তিনি ভোট দিতে পারলেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে এক কেন্দ্রের সামনে থেকে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করতে ছুটে গেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তবে তাঁকে ছাড়া হয়নি।
আজ বুধবার সকালে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধনাইতরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁর নাম মামুনুর রশীদ। তিনি ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আবুল হাসানের সমর্থক বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাঁকে আটক করেন। সে সময় আবুল হাসান তাঁর কর্মীকে উদ্ধার করতে ছুটে যান। তবে বিজিবি সদস্যরা মামুনুরকে ছাড়েননি।
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে মামুনুরকে আটক করা হয়েছে।
কুমিল্লা আলীয়া মাদরাসা কেন্দ্র ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ভোটার কেন্দ্র। ভোট দিতে গিয়ে বয়স্ক নারীদের সময় লাগছে বেশি। কিন্তু এরই মধ্য ইভিএমের ব্যালটে চাপ দেওয়ার পর শব্দ শুনে ভয় পেয়ে বেরিয়ে গেলেন এক ভোটার।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. নাইমুর রহমান বলেন, সকালে এক নারী একটি ভোট দিয়ে গোপন কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। ব্যালটে চাপ দেওয়ার পর শব্দ শুনে তিনি ভয় পেয়ে যান। তাঁর ভোট অসম্পূর্ণ থাকায় অন্য ভোটও নেওয়া যাচ্ছিল না। তাকে বুঝিয়ে আবার ভোট দিতে গোপন কক্ষে পাঠানো হয়! দুই নারা ভোটার ইভিএমের ইলেক্ট্রিক ব্যালটে চাপ দিতে গিয়ে নিচে ফেলে দেন।
সকাল আটটায় ভোট দিতে এসেছিলেন অন্তঃসত্ত্বা খাদিজা বেগম। জানালেন, দুই ঘণ্টা ধরে গরমের মধ্যে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনুরোধ করেও আলাদাভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। তিনি একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলছেন, অনুরোধ করেও ভোট দিতে না পারার বিষয়টি তিনি জানেন না। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পদুয়ার বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।
অসুস্থ হওয়ার পরে খাদিজাকে কেন্দ্রের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মাথায় পানি ঢালেন এবং বাতাস করেন অন্য ভোটাররা। খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমি আর ভোট দেব না। একটু ভালো লাগলে বাসায় ফিরে যাব।’
অনুরোধের পরেও অন্তঃসত্ত্বা খাদিজার ভোট দিতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহবুর রহমান বলেন, ‘ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স্ক, অসুস্থ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য আলাদা নির্দেশনা দেওয়া আছে। কোনো অন্তঃসত্ত্বা অনুরোধ করে ভোট দিতে পারেননি—এমন কোনো অভিযোগ আমার জানা নেই।’
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এ নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশের পর স্থানীয় রাজনীতির অনেক হিসাব-নিকাশের মীমাংসা হবে। পাঁচজন মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ২৭টি ওয়ার্ডে ১৪২ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন লড়ছেন। সবার দৃষ্টি মেয়র পদে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে কাউকে আজ বুধবার উঁকি দিতে সিসিটিভিতে দেখা যায়নি বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কুসিক নির্বাচন ও দেশের অন্যান্য নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ করতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনের লেভেল-৪ এর ৪১৩ নম্বর কক্ষে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে ইসি।
তবে সেই সিসি ক্যামেরায় কাউকে গোপন কক্ষে উঁকি দিতে বা দুজনকে দেখা যায়নি বলে দাবি করেছেন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ইসির আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কমিউনিকেশন) স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম। আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান তিনি।
যদিও কুসিক নির্বাচনে দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা বুথে এক পোলিং কর্মকর্তাকে উঁকি দিতে দেখা গেছে।
গোপন কক্ষে উঁকি দেওয়া হচ্ছে, এমন কিছু দেখেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্কোয়াড্রন লিডার শাহরিয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, সবগুলো গোপন কক্ষই আমরা সিসি ক্যামেরায় দেখতে পাচ্ছি। গোপন কক্ষে উঁকি দিচ্ছে এরকম আমরা দেখিনি। কেউ উঁকি দিলে সেটা আমরা দেখতে পেতাম। দেখলে অ্যাকশন নিতাম।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট গ্রহন। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ১০৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে এ ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টার দিকে।
পাঁচজন মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ২৭টি ওয়ার্ডে ১৪২ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সবার দৃষ্টি মেয়র পদে।
মেয়র প্রার্থী পাঁচজন হলে মুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরফানুল হক ও মনিরুল হকের মধ্যে হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর হিজড়া ভোটার দুজন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী হয়েছেন।
কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে এবার মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক (রিফাত)। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও সিটির সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক (সাক্কু) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন টেবিলঘড়ি নিয়ে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট গ্রহন। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ১০৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে এ ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টার দিকে শেষ হওয়ার কথা। তবে ৪টার পরেও ভোটগ্রহণ চলছে। বড় পুকুর পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ভোট নেওয়া হচ্ছে।
প্রিজাইডিং অফিসার আফজাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যারা ভোট কেন্দ্রের সীমানার ভিতরে ছিলেন শুধু তাদেরই ভোট নেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সীমানার ভিতরে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে আজ বিকেল তিনটা পর্যন্ত ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন রির্টানিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী। জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে তিনি এ কথা জানান। এখান থেকে নির্বাচনের সর্বশেষ ফলাফল প্রকাশ হবে।
‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ফলাফলে জয়-পরাজয় যাই হোক আমি মেনে নেব।’ আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় নানুয়া দিঘীরপাড় নিজ বাসভবনে প্রথম আলোর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু একথা বলেন।
নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া মনিরুল হক বলেন, ইভিএম ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবাই ভোট দিতে পারেননি। প্রাথমিক ধারণা ৫০ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে। ভোট দিতে না পেরে অনেকেই ফিরে গেছেন। ধীরগতি না থাকলে আরও অনেকেই ভোট দিতে পারতেন। এই একটি বিষয় ছাড়া সবকিছুই সুন্দর ছিল।
নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মনিরুল হক বলেন, সবাই চেষ্টা করেছেন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।