‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য’ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০–দলীয় জোট। এ ছাড়া জোটগত কর্মসূচি পালনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০ দলের বৈঠকে।
আজ সোমবার বিকেল চারটায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ২০ দলের সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যেসব দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে পুনঃনির্বাচনের দাবি করছে এবং ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার’ দাবিতে সোচ্চার রয়েছে তাদের সঙ্গে কথা বলে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, ২০ দলীয় জোট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি দেবে এবং দ্রুতই প্রেসক্লাবের সামনে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করা করবে। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্যের দাবি এবং কৃষি উপকরণের মূল্য কমানোর দাবিতে সারা দেশে কর্মসূচি দেবে তারা। এ ছাড়া প্রতিমাসে ২০ দলীয় জোটের একটি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত ৬ মে ২০ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। তিনি আজকের বৈঠকে উপস্থিতও ছিলেন না। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তবে তিনি আশা করেন আন্দালিভ রহমান ফিরে আসবেন।
ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ২০ দলের কোনো বিরোধ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ২০ দলের সমন্বয়ক বলেন, ২০ দলের অনুমতি নিয়েই ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ২০ দলের কোনো বিরোধ নেই।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।