এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের পরাজয়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আজকে সবার মন খারাপ। কারণ, বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আমরা ক্রিকেটে হেরে গেলাম। কিন্তু আমরা হারিনি, আমরা হারব না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে এক আলোচনা সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের টাইগাররা চোট খেয়েছে। কিন্তু এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কয়েকবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে লড়াই করেছে। শেষ বল পর্যন্ত ঘাম ঝরিয়ে ভারতকে বিজয় দেখতে হয়েছে।’
রোববার বিএনপির সমাবেশের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যে সমাবেশ করতে চাইছে, সে ব্যাপারে পুলিশ মহাপরিদর্শকের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিএনপি সমাবেশের অনুমতি পাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাস্তা অবরোধ করে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে প্রয়োজনে মুক্তমঞ্চ করে দেওয়ার কথাও বলেছেন। যার যা খুশি বলতে পারবেন। দরকার হলে আমরা মাইকও সেট করে দেব। কিন্তু রাস্তায় চেঁচামেচি করতে দেব না। আমরাও করব না, আপনাদেরও (বিএনপি) দেব না।’
সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টক শোর বিষয় হলো সভা-সমাবেশের অনুমতি লাগবে কেন? উপস্থাপকও বলছেন অনুমতির কথা। কিন্তু এ সাবজেক্টটাই–বা কেন? পুলিশের অনুমতি শুধু বিরোধী দল নয়, সরকারি দলকেও নিতে হয়। আমরা ক্ষমতাসীন দলও অনুমতি নিই। এটাই নিয়ম।’
বিএনপির এক নেতার নাম না উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, দেশে অশুভ শক্তির তৎপরতা চলছে। তিনি (বিএনপি নেতা) কেন অর্ধসত্য বলে অশুভ শক্তির জায়গায় অশনিসংকেত ব্যবহার করে আমার সম্পর্কে বিভ্রান্ত করেছেন? এটাই যদি বিএনপির রাজনীতি হয়, আমার কিছু বলার নেই। এটা মিথ্যাচার। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আমার কথার ভিডিও আছে। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি।’
পত্রিকার মালিক, সম্পাদকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার অনুরোধ, যা দেখবেন-শুনবেন তা-ই লিখবেন। গতকাল ১৪ দলের সমন্বয়ক আমাকে বলেছেন, তাঁরা কর্মিসমাবেশ করছেন। কিন্তু আপনারা একে সমাবেশ বলছেন কেন? সমাবেশ বানিয়ে বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি তো আমরা করব না। পাল্টাপাল্টি করলে কি আমরা নাট্যমঞ্চে করব? এটা সমাবেশ নয়, এটা হচ্ছে কর্মিসমাবেশ। এসব বিষয় বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের নিচের সারির কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। দেশে এসে বলেছিলেন, জাতিসংঘ নাকি তাঁদের পক্ষে দাঁড়াবে। গতকাল শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, বাংলাদেশে আজ যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এ জন্য শেখ হাসিনার সরকার ও জনগণের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সহযোগিতা করবেন। এটা আমরা বিএনপির মতো বানিয়ে বলছি না, দেশ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ আছে।’