ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হকের বহিষ্কার দাবি করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে ভিপি পদে বিজয়ী হিসেবে নুরুল হকের নাম ঘোষণার পরপরই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা নুরুল হকের বহিষ্কার দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ডাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। সিনেট ভবনে উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের চিৎকার, চেঁচামেচি ও হট্টগোলের কারণে একাধিকবার বক্তব্য থামিয়ে দিতে বাধ্য হন উপাচার্য।
ফল ঘোষণা শেষ হওয়ার পর বিক্ষোভ বেড়ে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নুরুল হককে ‘ভুয়া’ ও ‘ডাকসুতে শিবির চাই না’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
শুরু থেকেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসুর ভিপি পদে নুরুল হকের কাছে হেরে যাওয়া রেজওয়ানুল হক বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের থামানোর চেষ্টা করেন। ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেনও সংগঠনের নেতা-কর্মীদের থামাতে চেষ্টা চালান।
একপর্যায়ে ছাত্রলীগের এই তিন নেতা মঞ্চে ওঠেন। তাঁরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন।
কিছুক্ষণ পর মাইক্রোফোন নিয়ে গোলাম রাব্বানী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের স্লোগানের কারণে তাঁকে বারবার থেমে যেতে হচ্ছিল।
গোলাম রাব্বানী অভিযোগ করে বলেন, নুরুল হক সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগ ব্যবহার করে ভোটের দিন রোকেয়া হলের প্রভোস্টের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এর আগে তিনি উপাচার্যের বাসভবনেও হামলা চালিয়েছিলেন। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার জন্য উপাচার্যের কাছে দাবি জানান গোলাম রাব্বানী।
গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘হামলার ঘটনায় জড়িত নুরুল হকসহ কয়েকজনকে আসামি করে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী মামলা করেছেন। আমরা তাঁর (নুরুল হক) বহিষ্কার দাবি করছি।’
এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও নুরুল হকের ‘বহিষ্কার চাই’ বলে স্লোগান তোলেন।
গোলাম রাব্বানী তাঁর বক্তব্যে নুরুল হককে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর প্রতিনিধি বলে দাবি করেন।