রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে সংঘর্ষের ঘটনায় করা পুলিশের মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, তাবিথ আউয়াল, আমিনুল হকসহ ৭০ জন আগাম জামিন পেয়েছেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা অপর একটি মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন মিজানুর রহমান মিনুসহ আরও চারজন। সব মিলে দুটি পৃথক মামলায় বিএনপির ৭৪ নেতা-কর্মী আগাম জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
আজ বুধবার বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ বিএনপি নেতাদের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। চন্দ্রিমার ঘটনায় আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। নির্ধারিত সময়ের পর তাঁদের সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
ওই মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁর চেম্বারে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন আবেদন করেন বিএনপি নেতারা। আদালতে তাঁদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। আর জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম।
১৭ আগস্ট রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় পরদিন ১৮ আগস্ট দিবাগত রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা হয়। পুলিশের করা মামলায় বিএনপির ১৫৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। মামলায় পরিকল্পিতভাবে নাশকতার চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা করে আহত করা এবং গাড়ি ভাঙচুর করে জানমালের ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় বিএনপির নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্যসচিব আমিনুল হককে আসামি করা হয়। এ ছাড়া তাবিথ আউয়ালকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।