আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আচরণকে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আদালত প্রাঙ্গণে তাঁরা রণাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। আপিল বিভাগে কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির তারিখ পেছানোর ঘটনায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আচরণে আজ শুক্রবার তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আজ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আচরণের সমালোচনা করেন। এরপর সেখানে দপ্তর উপকমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাদের বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা আদালতে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। এটা ক্ষমার অযোগ্য।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা খাটছেন খালেদা জিয়া। গত এপ্রিল মাস থেকে তিনি কারা তত্ত্বাবধানে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন।
৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর মেডিকেল বোর্ড রিপোর্ট না দেওয়ায় শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর ধার্য করেন আদালত। এ নিয়ে আদালতে হট্টগোল করেন আইনজীবীরা। একপর্যায়ে এজলাস থেকে উঠে যান প্রধান বিচারপতি ও অন্য বিচারপতিরা।
আজ আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি আদালতে যে ধরনের অস্থিরতা তৈরি করেছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন দুরভিসন্ধি করছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া কোনো রাজনৈতিক মামলায় বন্দী নন যে রাজনৈতিকভাবে সরকার তাঁকে মুক্তি দেবে। তিনি দুর্নীতির মামলায় আটক। দুর্নীতির মামলায় সরকারের কোনো করণীয় নেই। এটা আদালতের বিষয়। খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক মামলায় আটক রাখা হয়েছে বলে বিএনপি যে কথা বলছে, তা মিথ্যা এবং সত্যের অপলাপ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে তাঁরা (বিএনপির আইনজীবী) রণাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। সবাই দেখেছেন। শেষ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতিকে পর্যন্ত বলতে হয়েছে, আমি এ ধরনের ঘটনা ঘটতে আর কখনো দেখিনি। বাড়াবাড়িরও একটা সীমা আছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া রাজার হালে আছেন। এই বক্তব্যকে বিএনপি বলছে আদালতের হস্তক্ষেপ। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন কথা বলেন, তিনি জেনেশুনেই কথা বলেন। বিএনপি কী বলছে, সেটা বিবেচনা করে তিনি কথা বলেন না। তিনি তাঁর কথা বলেছেন। আদালতের বিষয় আদালত নির্ধারণ করবে। বলা তো অপরাধ নয়।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, সহিংসতা করে বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। আন্দোলনের নামে নৈরাজ্যর চেষ্টা রুখে দেওয়া হবে। তাদের ‘অরাজনৈতিক’ কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
দপ্তর উপকমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে আজকের সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।