রাজধানীতে আজ বৃহস্পতিবার হঠাৎ গণপরিবহনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এই ন্যক্কারজনক ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক। আজ রাতে এক বিবৃতি দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ–১ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ন্যক্কারজনক ভোটাধিকার হরণের চিত্র আড়াল করার লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এসব দুষ্কর্মের মাধ্যমে সরকার আগের মতোই বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং এর দায়দায়িত্ব বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর চাপিয়ে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা করে হয়রানি করতে চায়।
এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে বিএনপি কখনোই জড়িত নয় দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে নয়, বরং জনগণের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে রাজনীতি করে। তাই সরকারের এই হীন ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত না হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি সরকারকে এই হীন রাজনীতির পথ পরিহার করে স্বচ্ছ রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানান।
আজ দুপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা ও সিরাজগঞ্জের উপনির্বাচন নিয়ে প্রেস ব্রিফিং শেষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ত্যাগ করার সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া কার্যালয়ের চারদিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘেরাও করে রেখেছেন। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। কার্যালয় থেকে যাঁরাই বের হচ্ছেন কিংবা প্রবেশ করছেন, সবাইকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রেপ্তার করা নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি চান। পাশাপাশি তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রমের স্বার্থে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেওয়ার আহ্বান জানান।