বিএনপি আজ মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ করে বলেছে, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পের বাস্তবায়ন তদারকির জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তবে সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বাতিল চিঠির ওপর ভিত্তি করে অভিযোগ করেছে। ৮ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এই চিঠি জারি হয়েছিল। ১৩ নভেম্বর সেটি বাতিল করা হয়।
বিএনপির অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ দেওয়ার নামে সংশ্লিষ্ট জেলার বাসিন্দা ও ওই জেলায় কর্ম–অভিজ্ঞতা আছে, এমন চাকরিরত ও অবসরে যাওয়া ৪৫ জন সচিবকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা সবাই জেলা প্রশাসকদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এসব কর্মকর্তার অনেকের অধীনে জেলা প্রশাসকেরা এখনো চাকরি করছেন বা করেছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক বা রিটার্নিং কর্মকর্তার নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনকে বিঘ্নিত করবে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, মেন্টর (পরামর্শক) নিয়োগের বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ১৩ নভেম্বরই স্থগিত করে। মেন্টর নিয়োগের বিষয়টি অনেক আগ থেকেই প্রচলিত আছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি এ–সংক্রান্ত আদেশটি জারি হওয়ার বিষয়ে জানতে পেরেছে। কিন্তু আদেশটি যে ইতিমধ্যে বাতিল হয়ে গেছে সেটি সম্ভবত তারা জানত না। সেই জন্যই ভুল করে বাতিল চিঠি নিয়ে অভিযোগ করেছে।
একই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, রুটিন কাজের অংশ হিসেবে তাঁরা উপদেষ্টা নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু পরে এটা নিয়ে আপত্তি উঠতে পারে বিবেচনা করে ১৩ নভেম্বর এটি স্থগিত করা হয়।