জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সমাবেশ থেকে পুলিশ ১৮ জনকে আটক করেছে। পুলিশের লাঠিপেটা চলাকালে বিএনপির নেতা–কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ বলছে, এতে তাদের অন্তত আট সদস্য আহত হয়েছেন। রাজধানীর শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তাদের পক্ষ থেকে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানে তাদের নেতা-কর্মীদের আটক ও আহতের বিষয়ে কথা বলা হবে।
ওসি মামুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির কর্মীরা শুরুতেই পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে আঘাত করলে পুলিশ ‘অ্যাকশনে’ যায়। পরে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় তিনি নিজেও পায়ে আঘাত পেয়েছেন বলে জানান। তিনি কোন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তা জানার জন্য পরে একাধিকবার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক আবুল মোমেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ওসির চিকিৎসার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সমাবেশে পুলিশের লাঠিপেটা ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। লাঠিপেটার পর সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হয়। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির পূর্বঘোষিত এই বিক্ষোভের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য দেন। সমাবেশের আগে প্রেসক্লাব ও এর আশপাশের এলাকায় ফুটপাতের দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া প্রমুখ ছিলেন।