চট্টগ্রামে প্রবাসীকে হত্যা মামলায় যুবলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়েছে। ওই যুবলীগ নেতার নাম এম এইচ হাসেম। তিনি হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
হাটহাজারী থানা-পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার রাতে মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালা বাদশাপাড়া এলাকায় কাতারপ্রবাসী দুই ভাই মুহাম্মদ হোসাইন এলাহী (৪০) ও মোমেন এলাহী (৩৫) একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। তখন ১৮ থেকে ২০ জন অস্ত্রধারী যুবক ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে সেখানে আসেন এবং দুই ভাইকে কোপাতে থাকেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান বড় ভাই মুহাম্মদ হোসাইন এলাহী। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছোট ভাই মোমেন এলাহীর অবস্থাও গুরুতর।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলছেন, মসজিদ ও নুরানি মাদ্রাসা পরিচালনার মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটির কর্মকর্তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় যুবলীগ নেতা হাসেমসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
অপর এক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় ঘটনার দিনই যুবলীগ নেতা হাসেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে নুরে এলাহী নামের এক যুবলীগ কর্মীকে খুনের অভিযোগে করা মামলার আসামি হাসেম। এ মামলায় তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ প্রথমে হাসেমকে নুরে এলাহী হত্যা মামলায় আদালতে পাঠায়। পরে তাঁকে প্রবাসী মুহাম্মদ হোসাইন এলাহী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে হাটহাজারী থানা-পুলিশ। আদালত শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, একটি হত্যা মামলায় আসামি হাসেমকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা হয়। এ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তারের আবেদন করা হলে আদালত তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানির দিন ধার্য রাখেন। শুনানি শেষে আদালত হাসেমকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।