কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রে ভোট ২ হাজার ৪৬১টি। আজ বুধবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর প্রথম এক ঘণ্টায় এ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৯৩টি, যা মোট ভোটের ৪ শতাংশের কম। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় নগরের লালমাই এলাকায় অবস্থিত এ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি আরও কমে গেছে।
সকাল থেকে কেন্দ্রের গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল সামনের সড়কে নৌকা প্রার্থীর ব্যাজধারীদের উপস্থিতি থাকলেও অন্য প্রার্থীর কোনো কর্মী-সমর্থক কেন্দ্রের আশপাশে নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কঠোর উপস্থিতি রয়েছে। ভোটার ছাড়া কাউকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রে সব মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট উপস্থিত রয়েছে।
কেন্দ্রটির ঠিক পেছনেই আবু তাহেরের বাড়ি। ৭৫ বছর বয়সী আবু তাহের সকালেই ভোট দিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হচ্ছে। কোনো জালিয়াতি হয় নাই। নিজের ভোট নিজেই দিতে পেরেছি।’
গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে সাতটি ভোটকক্ষ। প্রথম এক ঘণ্টায় ৫ নম্বর কক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ৪টি। ৭ নম্বর বুথে সবচেয়ে বেশি ২০টি ভোট পড়েছে। প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা সচল আছে।
২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৯ হাজার ১৮৭ জন। এই ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ৫ জন। লাটিম প্রতীক আবু হানিফ, নাসিরুদ্দীনের প্রতীক ঠেলাগাড়ি, ফজল খানের প্রতীক মিষ্টিকুমড়া, মহিবুর রহমানের প্রতীক ঘুড়ি আর মোস্তফা কামালের প্রতীক ট্রাক্টর।
সকাল নয়টার দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। সারিতে দাঁড়ানো ভোটাররা কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকে পড়েন। অনেকে আবার আশ্রয় নেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সেডে। প্রায় ২০ মিনিট ধরে বৃষ্টি চলছে। এর মধ্যে নতুন কোনো ভোটার কেন্দ্রে আসেননি।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আমির হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট করার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা আছে। বৃষ্টির কারণে ভোটারদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের এটি তৃতীয় নির্বাচন। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি বুথে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০টি। এবারের নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন মনিরুল ইসলাম (সাক্কু)। গত নির্বাচনে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিলেন মনিরুল ইসলাম।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন গত দুবারের মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক (টেবিল ঘড়ি) ও আওয়ামী লীগের আরফানুল হক (নৌকা)। অন্য তিনজন হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন (ঘোড়া) ও কামরুল আহসান (হরিণ)। এর মধ্যে মনিরুল হক বিএনপির ও নিজামউদ্দিন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছিলেন। সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় দুজনকেই বহিষ্কার করে বিএনপি। মেয়র পদপ্রার্থী আরফানুল হক নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।