জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলীয় সমাবেশের ওপর হামলার জন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করেছেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পুলিশের এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। পুলিশের আচরণ ছিল বেপরোয়া এবং সন্ত্রাসী ক্যাডারদের মতো।
আজ শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির এ অভিযোগ করেন।
রিজভী দাবি করেন, ‘পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ ১১৯ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। লাঠিপেটা করে অনেকের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সেখান থেকে ২১ জনকে আটক করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যুবদল কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জাকির সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক সরোয়ার ভূঁইয়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ নাঈম, সহসাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জহির মাঝি, আনোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের এবাদুল ব্যাপারী, নাদিম হোসেন, হিরণ, মো. আজিজ, মো. রুবেল, ইরান, সুমন, রাহাদ, সজিব, আলামিন, জয়, মো. রফিকসহ ২১ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, সমাবেশ শুরুর সময় থেকেই পুলিশ বিনা কারণে উসকানি ও মারমুখী আচরণ করে। সরকারের কুকীর্তি নিয়ে দেশ-বিদেশে নানা জল্পনাকল্পনা আড়াল করতে না পেরে সরকার তার রীতি অনুযায়ী বেপরোয়া ‘ডাণ্ডা-তন্ত্র’ চালু করেছে।
রিজভী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।