পিলখানা হত্যাকাণ্ড শুধু বিদ্রোহ ছিল না, এর পেছনে একটা সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এর মূল কারণ ছিল সেনাবাহিনীর মনোবলটাকে ভেঙে দেওয়া।
আজ শুক্রবার সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শাহাদাতবরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ড মামলার ১৩ বছর আজ। আমাদের দুর্ভাগ্য, আজ এত দিন পরও তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এর পেছনে কারা ছিল? কারা এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছিল?
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধেও কিন্তু আমাদের এত কর্মকর্তা নিহত হননি। যেখানে আমাদের ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তারপর সীমান্ত রক্ষার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ছিল, সেটাকে ভেঙে দিয়ে নতুন করে প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। হাজারো বিডিআর সৈনিকদের বিচার করা হয়েছে। কিন্তু এর পেছনে আসলে কারা, এর সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট আমরা পাইনি। সেনাবাহিনী দিয়ে তদন্ত করা হয়েছিল, তারাও রিপোর্ট প্রকাশ করেনি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, সাবেক এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির, কর্নেল (অব.) কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) এম এম হাসান, মেজর (অব.) কোহিনুর আলম নুর, মেজর (অব.) আজিজ রেজা, শামীমুর রহমান, শায়রুল কবির খান।
এ ছাড়া ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়রাম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইব্রাহিম, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব, ডেমোক্রেটিক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফ, উদ্দিন মনি প্রমুখ।