দুই দেশ পাশাপাশি হলে সমস্যা থাকে, সমাধানও থাকে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, তবে সুখের বিষয় যে ভারত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, যাতে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা ও উত্তেজনা না হয়।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্মরণসভার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
১৯ জুন দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের নেতৃত্বে জেসিসির সপ্তম বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ৩০ মে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে দুই প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে নদী সম্মেলনের ফাঁকে আলোচনার পর বৈঠক স্থগিতের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।
জেসিসির বৈঠকে কোন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন আজ সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের সঙ্গে অনেক বিষয় রয়েছে। আবার অমীমাংসিত বিষয়ের মধ্যে রয়েছে পাটের ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং, সীমান্ত ইস্যু ও জ্বালানি নিরাপত্তার নতুন ইস্যু।
ভারত থেকে গম আমদানি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে তারা (ভারত) রাজি হয়েছে। অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশে যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে আনতে চান, তাঁরা পারবেন। তবে তাঁরা সেটা তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করতে পারবেন না।
যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘জেআরসির মিটিং হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম। আসামে তাঁদের সঙ্গে আলাপ করেছিলাম। জেআরসির জন্য তাঁরা প্রস্তুত নন। জেসিসি বৈঠকের আগে জেআরসির বৈঠক না হলেও পানি বণ্টন ইস্যুতে আলোচনা হবে।’