পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দাবি আসলে বিএনপিরই বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘জাফরুল্লাহ সাহেব পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। যেখানে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ দাবি করছে যে পাকিস্তান ক্ষমা চাক, সেখানে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বললেন পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। এটি জাফরুল্লাহ সাহেবের বক্তব্য নয়, এটি হচ্ছে পুরো বিএনপির অন্তর্গত বক্তব্য। তারা যে এখনো পাকিস্তানকে ভুলতে পারছে না, এটি তারই বহিঃপ্রকাশ।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত প্রয়াত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর স্মরণসভায় এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ। সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালিদের ওপর, বাংলাদেশের মানুষের ওপর, ১৯৭১ সালে যে অন্যায় ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সে জন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
বরেণ্য অভিনেত্রী কবরী আজীবন বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারণ করেছেন এবং শেখ হাসিনার পাশে থেকেছেন উল্লেখ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৫৭ সালে এফডিসি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়। এর কয়েক বছর পরই সারাহ বেগম কবরীর আবির্ভাব। প্রায় পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি যেভাবে আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে গেছেন, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
কবরী অভিনীত বিভিন্ন চলচ্চিত্র এখনো অম্লান। এখনো আমরা তাঁর অভিনীত ছবিগুলো দেখে আবেগতাড়িত হই। সুচিত্রা সেনের পর আরেকজন সুচিত্রা সেন হয়নি।
সারাহ বেগম কবরীর মতো আর একজন শিল্পী কখন হবে, সেটি বলা মুশকিল।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকারের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, অভিনেত্রী সুজাতা, দিলারা ইয়াসমিন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, অভিনেত্রী তারিন জাহান, সোহরাব খান চৌধুরীসহ জোটের অন্য নেতারা।