সংবিধান মেনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য এখনই আইন চায় ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ন্যাপ। এমনকি প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইসি গঠনে আইন করার পক্ষে মত দিয়েছে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ ন্যাপ নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগী শক্তি হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে পৃথকভাবে অংশ নিয়েছে দল দুটি। প্রথমে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর নেতৃত্বে দলের সাত নেতা সংলাপে অংশ নেন। সংলাপ শেষে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, সংবিধান মোতাবেক একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, শক্তিশালী ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করাসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া লিখিত প্রস্তাবে দলটি বলেছে, গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাই সংকটাপন্ন। ফলে নির্বাচনী আমেজ-আবহ, ভাবগাম্ভীর্যতা ও উৎসবমুখরতা ক্রমেই বিলুপ্তির দিকে। এর নেতিবাচক পরিণতিতে ক্রমাগত ভোটকেন্দ্র-বিমুখ হয়ে পড়ছেন ভোটাররা, যা ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ন্যাপ সংলাপে রাষ্ট্রপতির কাছে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগী শক্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা।
দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে আট নেতা সংলাপে অংশ নেন। সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বারবার নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা।
নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।