আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে গণমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন আইন পাস এক অনন্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আজ শুক্রবার তাঁর বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই আইন প্রণয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ পাস হয়। আইনটি পাস হওয়ায় সংসদ নেতাসহ জাতীয় সংসদের সব সদস্যের প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র ও জনমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণে যা কিছু হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মতো নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধানের আলোকে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশের জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য স্বাধীন, নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে এই আইন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
আইনটি ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই আইন না মানা বিষয়ে বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে দল বা ব্যক্তি দেশের জনগণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করে, দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার-ষড়যন্ত্র করে, তাদের কাছ থেকে এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যই প্রত্যাশিত ছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব এ আইনের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য রেখেছেন, তা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, জাতীয় সংসদের সব সদস্য, দেশের সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি নির্মম উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি বিএনপির কোনো বিশ্বাস নেই। তাই বিএনপি জনগণের ভোট নয়, বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চায়।