কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, এবারের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গি যারা লালন করেছে, তাদের চিরদিনের জন্য পরাজিত করার নির্বাচন। নির্বাচনের পরে বাংলাদেশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক অপশক্তি আর দেশে থাকবে না, এটা দেখতে চাই।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের এক মতিবিনিময় সভা হয়। সভা শেষে সভার সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ নাসিম এ মন্তব্য করেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এ লড়াই হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে, এ লড়াই হচ্ছে কিছু নীতি ও আদর্শহীন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে লড়াই। তিনি বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াত এবং নীতি ও আদর্শহীনদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ একটি গণ রায় দেবে। দেশের জনগণ নবান্ন উৎসবের মতো ভোট উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে আছে। তারা ভোট দিতে চায়, নৌকার বিজয় অর্জন করতে চায়।
মন্ত্রী নাসিম বলেন, ডিসেম্বর মাসে বাঙালি বিজয় ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প চিন্তা করতে পারে না। বাঙালি সব সময় ডিসেম্বর মাসে বিজয় অর্জন করেছে। এবারও নির্বাচন ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখে। এই কারণে বিশ্বাস করি, বাঙালি জাতি অপশক্তির বিরুদ্ধে আবারও বিজয় অর্জন করবে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সারা দেশের মানুষ আজকে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমি কয়েক দিন এক নাগাড়ে গ্রামে ছিলাম, দেখেছি মানুষ উৎসবমুখর হয়ে আছে। নবান্ন উৎসবের মতো বাংলাদেশের জনগণ ভোট উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে আছে। তারা ভোট দিতে চায়, নৌকার বিজয় অর্জন করতে চায়। সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে। আমরা নবান্ন উৎসবের মতো আমাদের বিজয়ের ফসল ৩০ ডিসেম্বর কেটে ঘরে তুলতে চাই, এটিই এখন কাজ আমাদের।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিম বলেন, আমাদের যেকোনো বিচ্যুতি পরাজয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আমরা কী পেলাম, কী পেলাম না, বড় কথা না। এ কারণে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশের প্রতিটি উপজেলায় বিজয় মঞ্চ করা হবে। এখান থেকে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করব।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, অপরাধী, খুনি ও জঙ্গি এরা সব জোট বেধে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অসিত বরণ রায়, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিকসহ অনেকে।
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের (এফবুটা) সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খানসহ অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।