ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বুধবার সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রথম আলোকে এ কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন।
এর আগে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ নিয়ে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। সে সময় জানানো হয়, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ২৬ মে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে (কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) এবং ২৭ মে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হবে।
তবে সাইফ মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ২৭ মে বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে ওই দিন তাঁরা কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় তাঁদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রদলের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দোয়েল চত্বরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এতেও বেশ কয়েকজন আহত হন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের ধাওয়ায় ছাত্রদল ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের নারীনেত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৮০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থা গুরুতর।
সাইফ মাহমুদ বলেন, ছাত্রদলের নেত্রী মানসুরা আলম, রেহেনা আক্তার শিরীন, শানজিদা ইয়াসমিন তুলি, সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, তন্বী মল্লিক হামলার শিকার হয়েছেন। তাঁদেরও সড়কে ফেলে পেটানো হয়েছে। ছাত্রদলের দুই নেতাকে তুলে নিয়ে শহীদুল্লাহ্ হলের ড্রেনে ফেলে নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নেতা–কর্মী ও চিকিৎসকদের হয়রানি করছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেই এ হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে কোনো সৌজন্য শেখাননি। শিক্ষাঙ্গনগুলোকে এই সরকার বিশৃঙ্খলায় ভরিয়ে রাখতে চায়, যাতে ছাত্রসমাজ কথা বলতে না পারে।’