গত জুলাইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পক্ষ থেকে ‘অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন অন সাইবার সেইফটি অ্যান্ড ৯৯৯’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উদ্যোগটি নিয়েছিলেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। ১৬ জুলাই থেকে কর্মশালাটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা করতে পারেননি। কারণ, তিনি সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত। আখতার এ জন্য ছাত্রলীগের দুই নেতা ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদকের (এজিএস) অসহযোগিতাকে দায়ী করেন।
দীর্ঘ ২৯ বছরের অচলাবস্থা ভেঙে গত মার্চের নির্বাচনের মাধ্যমে সচল হলো যে ডাকসু, সেখানে এখন এমনই দ্বন্দ্বদীর্ণ এক বাস্তবতা। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এই সংসদ তাঁদের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। প্রত্যাশা-প্রাপ্তির খতিয়ানে অপ্রাপ্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডাকসুর ভিপির সঙ্গে জিএস-এজিএসের সমন্বয়হীনতা, অসহযোগিতা ও বৈরী সম্পর্ক। এক বছর মেয়াদের ছয় মাস চলে গেলেও শিক্ষার্থীদের আবাসন-সংকট নিরসনের কোনোই উদ্যোগ নেই। উল্টো এই সমস্যাকে পুঁজি করে নবীন শিক্ষার্থীদের গণরুমে রাখার বিনিময়ে কর্মসূচিতে ব্যবহার এবং হলের অতিথিকক্ষে দুর্ব্যবহারের মতো সমস্যাগুলো এখনো বহাল আছে।
জিএস-এজিএসসহ ডাকসুর ২৫টি পদের ২৩টিতে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগ প্যানেলের প্রার্থীরা। দুটি পদে (ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক) নির্বাচিত হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী।
গত ১১ মার্চের নির্বাচনের পর ২৩ মার্চ ডাকসুর প্রথম কার্যকরী সভা হয়, দ্বিতীয় সভা হয় ৩০ মে। দুটি সভায়ই সভাপতিত্ব করেন ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। এই দুই সভার বাইরে এখন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণভাবে কোনো সভা করতে পারেনি ডাকসু। এর জন্য সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক দায়ী করছেন জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেনের অসহযোগিতাকে। তবে তাঁরা দুজনই ভিপির বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ বলে উল্লেখ করেছেন।
নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘জিএসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায় না। জিএস ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক। দেখা গেছে, তাঁর বাসায়ই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ডাকসুর বাজেটও তাঁর বাসায়ই ঠিক করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত একটা অনুষ্ঠানের ব্যাপারেও আমার মতামত নেওয়া হয়নি।’ তবে এজিএস দাবি করেন, কার্যনির্বাহী সভার বাইরেও ডাকসুর একাধিক সভা হয়েছে। জানানো হলেও ভিপি সেগুলোতে অংশ নেননি।
বিচ্ছিন্নভাবে ডাকসুর অনেক সদস্য শিক্ষার্থীবান্ধব নানা কাজ করলেও একটি মঞ্চ হিসেবে ডাকসুতে নেই আলোচনাভিত্তিক সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা। এ ক্ষেত্রে এজিএস সাদ্দাম হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ, সদস্য তানভীর হাসান, রকিবুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসানকে সরব দেখা গেছে। সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবিরের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত হয়েছে সাহিত্য সাময়িকী।
‘ব্যর্থ’ হলেও অর্থ খরচ হচ্ছে
শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে ‘ব্যর্থ’ হলেও এ পর্যন্ত ডাকসুর বাজেটের এক-পঞ্চমাংশের কিছু বেশি টাকা খরচ হয়ে গেছে। ডাকসুর সর্বশেষ সভায় পাস হওয়া বাজেটের (১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা) প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে।
বাজেটে অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও অনুষ্ঠানটি এখনো হয়নি। জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি করে তাঁরা অভিষেক অনুষ্ঠানটি করতে চান। সব প্রস্তুতি শেষ। প্রধানমন্ত্রী সময় দিলেই অনুষ্ঠানটি হবে।
>গত মার্চের নির্বাচনের মাধ্যমে সচল হয় ডাকসু
প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না
ডাকসুর ভিপি-জিএসের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক
ঢাবি গণরুম-গেস্টরুম আগের মতোই চলছে
এখনো বাজেট হয়নি হল সংসদগুলোর
পুরো খরচের হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সংস্কৃতি সম্পাদক আসিফ তালুকদার পাঁচটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের খরচ হিসেবে ডাকসুর তহবিল থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন। সর্বশেষ অনুষ্ঠানটি ছিল ১ সেপ্টেম্বর, বঙ্গবন্ধুর সংস্কৃতি ভাবনা ও স্বাধীনতার গান শিরোনামে। ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ ছয়টি ইভেন্ট করে নিয়েছেন তিন লাখ টাকা। এর বাইরেও কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান নেওয়ার পাশাপাশি জিএসের তহবিল থেকেও অর্থ পেয়েছেন বলে জানালেন শাকিল। তাঁর সর্বশেষ আয়োজনটি ছিল গত ২৮ আগস্ট, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সঙ্গে ডাকসুর প্রীতি ফুটবল ম্যাচ।
জিএস গোলাম রাব্বানী মনে করেন, ডাকসুর বাজেট বাড়ানো উচিত। তিনি বলেন, ডাকসুর বাজেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের মাত্র শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। এটি হওয়া উচিত ১ শতাংশ।
ভিপি নুরুল হক বলছেন, সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারলে বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সমন্বয়হীনতার কারণে ডাকসুর প্রতি কারোরই তেমন আগ্রহ নেই। শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাওয়া পূরণে ডাকসুর কার্যকর ভূমিকা না থাকায় বাজেটের প্রসঙ্গটি গৌণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এখনো চলছে গণরুম-গেস্টরুম
আবাসনসংকট থাকায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সিট পান না। হলে থাকতে হলে তাঁদের ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের শরণাপন্ন হতে হয়, বিনিময়ে যেতে হয় তাদের কর্মসূচিতে।
ডাকসু নির্বাচনের সময় ছাত্রলীগ, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন প্যানেলের ইশতেহারে এই সমস্যার সমাধানের বিষয়টি সামনে ছিল। ছাত্রলীগ তাদের ইশতেহারে বলেছিল, ডাকসুতে জিতলে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের রূপরেখা প্রণয়ন করবে। আর আবাসনসংকটের আপৎকালীন সমাধান হিসেবে দ্বিতল বা ত্রিতল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের একক আসন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেবে।
জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণরুমব্যবস্থা উচ্ছেদ করতে হলে নতুন ভবন করতে হবে। ডাকসুকে তাহলে ভবন নির্মাণের বরাদ্দ দেওয়া হোক।’
ভিপি নুরুল হক বলেন, একাধিকবার জিএস-এজিএসকে গণরুম-গেস্টরুম বন্ধের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁরা উদ্যোগ নেননি। ছাত্রলীগের সাবেক অনেক নেতা অছাত্র হলেও হলগুলোতে থাকছেন। তাঁদের ব্যাপারে জিএস-এজিএস নমনীয়। উপাচার্যও ছাত্রলীগের সুরেই কথা বলেন।
সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক আয়োজনকে ডাকসুর মূল কাজ বলে মনে করেন জিএস রাব্বানী। তাঁর দাবি, ডাকসু প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কাজ করছে। শিক্ষার্থীরা এসব কাজের সুফলও পাচ্ছেন।
অন্যদিকে এ মুহূর্তে গণরুম-গেস্টরুম প্রথা উচ্ছেদ, অছাত্র-বহিরাগত বিতাড়ন ও ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাকে ডাকসুর কাছে শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাওয়া বলছেন ভিপি নুরুল।
ভিপি-জিএস সম্পর্ক
ডাকসুর ভিপি ও জিএসের মধ্যকার বৈরি সম্পর্কের কারণেই সমন্বয়ের অভাব দেখছেন শিক্ষার্থীরা। জিএস রাব্বানী ডাকসু কার্যালয়ে খুব কম যান। রাব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভিপি নুরুলের সঙ্গে আমার আদর্শিক দ্বন্দ্ব আছে। তিনি বিপথগামী হয়ে গেছেন। তিনি চিন্তা করেন কীভাবে ব্যক্তিগত লাভ করা যায়। আর আমি ভাবি কীভাবে দেশের উন্নয়ন করা যায়।’
ভিপি নুরুল বলেন, ‘জিএস ও এজিএস ডাকসু কার্যালয়ের কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা ডাকসুতে প্রবেশ করার আগে যেন আমার কক্ষের তালা না খোলা হয়। মুখে বললেও বাস্তবে তাঁরা সহযোগিতা করেন না।’ অভিযোগের জবাবে রাব্বানীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘কী সহযোগিতা চান তিনি? ভিপির তকমা লাগিয়ে তিনি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন, সেখানে আমরা জনবল সরবরাহ করব?’
ভিপি নুরুল হক এ পর্যন্ত আটবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘নুরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভিপি। ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে তিনি ভিপিগিরি দেখাতে চাইলে জনগণ ক্ষুব্ধ হলে আমাদের কী করার আছে?’
হল সংসদগুলো কী করছে
দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাস পেরোলেও এখনো বার্ষিক বাজেট হয়নি ১৮টি হল সংসদের কোনোটিতেই। কোনো কোনো হল সংসদের ভিপি-জিএসের বিরুদ্ধে উঠেছে হলের ক্যানটিনে চাঁদাবাজির অভিযোগ। তবে হল সংসদগুলোর সভাপতিরা (প্রাধ্যক্ষ) সংসদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল সংসদের ভিপি রিকি হায়দার বলেন, তাঁরা ৪০ লাখ টাকার খসড়া বাজেট প্রস্তুত করেছেন। বাজেট কবে পাস হবে, তাঁরা জানেন না। আপাতত বিভিন্ন কার্যক্রমের খরচ হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে।
চাঁদা না পেয়ে ক্যানটিন পরিচালককে কৌশলে বিতাড়নের অভিযোগ উঠেছে বিজয় একাত্তর হলের ভিপি সজিবুর রহমান ও জিএস নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে। হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, প্রমাণসহ কেউ লিখিত অভিযোগ করলে অবশ্যই বিষয়টি দেখা হবে। তবে হল সংসদের অন্যান্য কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট তিনি।
রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা জানান, শিগগিরই তাঁর হলে হল সংসদের বাজেট হবে। হল সংসদের কর্মকাণ্ডে তিনিও সন্তুষ্ট।
মুগ্ধ উপাচার্য
ডাকসু ও হল সংসদের তৎপরতায় রীতিমতো মুগ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডাকসু বিভিন্নভাবে অনেক কর্মসূচি করছে এবং সেগুলোতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা ছিল। এগুলো দেখে খুব ভালো লাগছে। আমি ভাবতে পারিনি, এত দ্রুত তাঁরা এত ভাইব্রান্ট হয়ে উঠবেন। আমার মনে হয়েছিল, এর জন্য বোধ হয় দু-এক বছর সময় লাগবে। ছয় মাসের মধ্যেই নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তাঁরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তা খুবই আশাব্যঞ্জক।’
গণরুম-গেস্টরুম ব্যবস্থা এখনো চলছে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, একেকজনের একেক রকম বক্তব্য থাকতেই পারে। কাজগুলো করা এবং দায়িত্বশীল আচরণটাই আসল। হল প্রশাসন, হল সংসদ ও ডাকসুকে এসব বিষয়ে কাজ করতে পরামর্শ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হতাশ শিক্ষার্থীরা
ডাকসুর কর্মকাণ্ডে উপাচার্য আশাবাদী হলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা হতাশ। মাস্টারদা সূর্য সেন হলের আবাসিক ছাত্র মো. ইসরাফিলের মূল্যায়ন, শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে ডাকসু পুরোপুরি ব্যর্থ। সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ডাকসু কিছুই করতে পারেনি। ক্যাম্পাসে মৌলিক কোনো পরিবর্তনও আসেনি।
রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রী কনক ফারজানা বলেন, ছাত্রী হলগুলোতে অবস্থা তুলনামূলক ভালো। তবে ছাত্রদের হলগুলোতে অবস্থার কোনোই পরিবর্তন হয়নি। আগের মতোই গণরুম-গেস্টরুম চলছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রহমান বলেন, ডাকসু নির্বাচন হওয়ার পর কিছু ইতিবাচক কাজ হলেও তা হয়েছে ব্যক্তি-উদ্যোগে। ব্যক্তির ব্র্যান্ডিং নয়, চাই সমন্বিত ডাকসু।