ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের নির্বাচনী প্রচারে তিন দিনে দুই দফায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকালে সায়েদাবাদের আর কে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের সামনে বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সূচি ছিল। সেখানে তাঁর সমর্থকেরা জড়ো হতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সালাহউদ্দিন আহমেদ গত সোমবার যাত্রাবাড়ীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে পথসভা করে নির্বাচনী প্রচারে নামেন। প্রচারের দ্বিতীয় দিন গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কদমতলী থানার কুদারবাজার এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণায় হামলা হয়। এতে সালাহউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর আহমেদ ও নির্বাচনী প্রচার সেলের সদস্য মঞ্জুর মিলনসহ পাঁচ-ছয়জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আর কে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগেই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। হামলার পর দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেন বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদসহ দলের নেতারা।
সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন, ‘পুলিশের সামনেই শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় সন্ত্রাসী আক্রমণ হয়েছে। স্থানীয় ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালামের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিলেও তারা আমলে নিচ্ছে না।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটা অলীক কল্পনা। নির্বাচন কমিশন তো অস্বীকার করে নিয়েছে রাতে নির্বাচন হয়, এবার আর হবে না। আসলে নির্বাচন কমিশন পাপিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সময় শেষ হয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ লেজ গুটিয়ে পালাবে।’
অবশ্য আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর আবদুল কালাম হামলার কথা অস্বীকার করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘১২টার দিকে আমাদের মেয়র সাহেব (শেখ ফজলে নুর তাপস) গোলাপবাগ পরিদর্শনে এসেছিলেন। আমরা মিছিল নিয়ে সেখানে গেছি। হামলার কিছু হয়নি।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কদমতলীর কুদারবাজার এলাকায় হামলার ঘটনার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর নিন্দা জানান। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে বহু আগেই মাটিচাপা দিয়েছে। গণবিচ্ছিন্ন এই সরকারের সন্ত্রাস ছাড়া আর কোনো অবলম্বন নেই। ঢাকা-৫ আসনে ধানের শিষের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা তারই প্রমাণ।