বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই ২০০১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে খালেদা জিয়া ও দেশকে মুক্ত করা হবে।
রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ সোমবার উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বলা হচ্ছে। শাসক গোষ্ঠী বলছে, তারাই এটাকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে নিয়ে গেছে। এটা শুরু করেছিলেন তারেক রহমান ২০০১ সালে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সব তথ্য ডেটাবেইস করে রেখেছিলেন। কিন্তু এক-এগারোতে সব নষ্ট করা হয়।’ তারেক রহমানের সঙ্গে নিজের স্মৃতিচারণা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারেক রহমান জন্মসূত্রে নেতৃত্ব পেয়েছেন এবং অতি অল্প সময়ে নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করেছেন।
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। দেশের মানুষ তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি আরও বলেন, যুগে যুগে তরুণ ও ছাত্ররা আন্দোলন করে এসেছে। তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে, নেতৃত্ব দিতে হবে। কারও ডাকের অপেক্ষায় থাকলে হবে না।
তারেক রহমান বিএনপিতে নতুন প্রাণ সৃষ্টি করেছেন জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দুঃসময়ে দূর থেকে দলকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে চালাচ্ছেন। তারেকের জন্মদিনে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার শপথ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, উন্নয়নের রোল মডেল বলা হচ্ছে। কিন্তু সরকার ঋণে জর্জরিত। তারেকের নেতৃত্বেই দেশকে মুক্ত করতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ এবং সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া তারেকের নামে মামলা প্রত্যাহার ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানান তিনি।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান প্রমুখ।