সংরক্ষিত নারী আসনে নয়, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাসরি অংশ নিতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আগামী নির্বাচনে তিনি টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। আজ শনিবার টাঙ্গাইল সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা জানান।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবুরিয়ায় তারানা হালিমের পৈতৃক বাড়ি। নবম ও দশম জাতীয় সংসদে প্রখ্যাত এই অভিনেত্রী সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাঁকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মতবিনিময়কালে তারানা হালিম বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকার জোয়ারের সময়ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ আসন থেকে বিজয়ী হতে পারেননি। ২০১৪ সালে যিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তাঁর সঙ্গেও দলীয় নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।
তারানা হালিম বলেন, ‘নয় বছর ধরে নাগরপুর-দেলদুয়ার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, ভাঙনরোধে নদীতে বাঁধসহ এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। জনগণ ও দলীয় নেতা-কর্মীরা ভালোবেসে আমার পাশে আছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিজয়ী হয়ে তাঁর মুখ উজ্জ্বল করতে পারব।’
তারানা হালিম এখন নিয়মিত এলাকায় যাতায়াত করছেন। নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলায় দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গণসংযোগ করছেন।
এই আসনে এখনকার সাংসদ খন্দকার আবদুল বাতেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেনের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক আহসানুল ইসলাম ওরফে টিটু। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খন্দকার আবদুল বাতেনের কাছে পরাজিত হন। আগামী সংসদ নির্বাচনেও আবদুল বাতেন, আহসানুল ইসলাম দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সদস্য তারেক শামস খান, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুলসহ বেশ কয়েকজন এ আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।