ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। হামলার পর শহীদুল্লাহ হলের সামনে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। হামলা ও ধাওয়ার একপর্যায়ে শহীদুল্লাহ হলের ড্রেনে ফেলে ছাত্রদলের দুই নেতা–কর্মীকে পেটাতে দেখা গেছে। এমনকি হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহত ওই দুজনের একজনকে রিকশা থেকে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী আল আমিন বাবলুকে শহীদুল্লাহ হলের ড্রেনে ফেলে পেটাতে দেখা গেছে। মারধর করার পর তাঁদের রিকশায় তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে মিনহাজুলকে রিকশা থেকেও লাথি দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে অবশ্য একটি রিকশায় করে মিনহাজুলকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ছাত্রদল বলছে, শহীদ মিনারের সামনে হামলার ঘটনায় তাদের অন্তত ৩০ জন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। সেখানে হকিস্টিক, রড, চাপাতি ও দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রদল জানিয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানসুরা আলমও রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদের এক বক্তব্যের পর গত রোববার সন্ধ্যায় টিএসসি এলাকায় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন।
ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও সাইফ মাহমুদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সেখানে যাওয়ার পথেই তাঁদের ওপর হামলা হয়। পরে আবার শহীদুল্লাহ হলের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।