ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের কর্মীরা রড ও স্টাম্প নিয়ে বের হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে প্রাধ্যক্ষ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কবি জসীমউদ্দীন হলের পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। পরে হলের প্রাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রশীদ ও হলের আবাসিক শিক্ষকেরা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন খলিফা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হলের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বর এলাকায় কবি জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী রাশেদুজ্জামান রনি ও ইসমাঈল হোসেনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রাশেদুজ্জামান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন খলিফা ও ইসমাঈল হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। রাত আটটার দিকে সুমন খলিফার অনুসারীরা ইসমাঈলের কক্ষে যান। এরপর লুৎফরের অনুসারীরা তাঁদের ধাওয়া করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে রাত পৌনে নয়টার দিকে সুমন খলিফা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে হলের চতুর্থ তলায় অবস্থান নেন। অন্যদিকে লুৎফরের অনুসারীরা অবস্থান নেন দ্বিতীয় তলায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এরপর হলের আবাসিক শিক্ষকদের চেষ্টায় উত্তেজনা কিছুটা কমে।
খবর পেয়ে হলে যান প্রাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রশীদ। পরে আবাসিক শিক্ষকেরা সুমন খলিফা ও লুৎফর রহমানকে নিয়ে প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ে যান। সেখানে যখন আলোচনা চলছিল, তখন দুই পক্ষের কর্মীরা রড ও স্টাম্প নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেন। পরে দুই পক্ষই শান্ত হয়।
এ ব্যাপারে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন খলিফা বলেন, ভুল–বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
আর সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, ঠাট্টার বিষয়টি সেখানেই শেষ হয়ে গেছে। তাঁদের হলে তেমন কিছুই হয়নি। বিষয়টির সমাধান হয়েছে।
হলের প্রাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে তাঁদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।