ঢাকায় আ.লীগের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে বিএনপির তাবিথ ও ইশরাক

তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। ফাইল ছবি
তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। ফাইল ছবি

ঢাকার দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য বিএনপি তাদের মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে লড়বেন অবিভক্ত ঢাকার প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। উত্তর সিটিতে আগেরবারের প্রার্থী তাবিথ আউয়ালই বিএনপির প্রার্থী। এ দুজন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে নামবেন।

আজ শনিবার রাতে বিএনপি পার্লামেন্টারি বোর্ড মেয়র পদে আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়। এরপর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল চূড়ান্ত দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দক্ষিণে আমাদের প্রার্থী ছিলেন একজনই—ইশরাক হোসেন। তিনি একেবারে নতুন। আমরা মনে করি, নতুনের মাঝেই তাঁর একটা প্রভাব থাকবে। যেহেতু তিনি শিক্ষিত ছেলে, তিনি গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। তাকে অনেকেই পছন্দ করেন। তাঁর চিন্তাশক্তি, মেধা, বাচনভঙ্গির প্রশংসা করেন। তিনি আমাদের প্রার্থী।’


ইশরাক হোসেন ছাড়া দক্ষিণের জন্য বিএনপি থেকে আর কেউ মনোনয়নপত্র কেনেননি। আগে থেকেই জোর গুঞ্জন ছিল, ইশরাকই হবেন বিএনপির প্রার্থী। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ঢাকা-৬ আসনের জন্য মনোনয়নপত্রও কিনেছিলেন। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দর-কষাকষিতে তিনি সরে যান।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য বিএনপি আবারও তাবিথ আউয়ালকেই বেছে নিল। তিনি ২০১৫ সালের নির্বাচনে উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কাছে হেরেছিলেন। যদিও সেবার নির্বাচনের দিনেই তিনি ভোট বর্জন করেছিলেন।

এবার উত্তর সিটিতে লড়তে বিএনপি থেকে তাবিথ ছাড়াও দলের বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন মনোনয়নপত্র কেনেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটিতে দুজন প্রার্থী ছিলেন। আসাদুজ্জামান রিপন একজন পরীক্ষিত নেতা। বিএনপির শুরু থেকেই তিনি আছেন। তাবিথ আউয়ালের নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অনেক। সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি ভূমিকা রাখতে পারবেন।’ তাবিথকেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন ফখরুল।

নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারপরও আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু হতে পারে না। মূলত বাংলাদেশের নাগরিকদের শঙ্কা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হয় না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা তুলে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, নির্বাচনে বিশ্বাস করি, বিকল্প কোনো পথ নেই। ক্ষমতার পরিবর্তনে বিশ্বাস করি, তাই নির্বাচনে যাচ্ছি। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই ক্ষমতায় যেতে হবে।’

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর। আর ২ জানুয়ারি এসব মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জানুয়ারি।

পার্লামেন্টরি বোর্ডের সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দীন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।