ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নানা অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য ও ভিডিও ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরল বিএনপি। আজ রোববার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীসহ কূটনীতিকদের সঙ্গে এ বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে বের হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সিটি নির্বাচনের দিন যেসব ঘটনা ঘটেছে তার একটা প্রেজেন্টেশন বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নির্বাচনে কারচুপি, জালিয়াতির বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। ইশরাক জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কূটনীতিকরা তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের এখানে বিভিন্ন সময়ে ডেমোক্রেসির ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে, তাদের একটা আগ্রহ থাকে যে এত বড় নির্বাচন হয়ে গেল, সেটা কীভাবে হলো? সেগুলোর বিষয়ে আমরা তাদের প্রেজেন্টেশন দিয়েছি।’
ইশরাক দাবি করেন, কূটনীতিকদের কাছে তাঁরা কোনো অভিযোগ করেননি, কারণ তাদের কাছে অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই। কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছিলেন এবং বিএনপি তা জানিয়েছে।
কূটনীতিকদের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে ইশরাক বলেন, কূটনীতিকরা নির্বাক ছিলেন এবং অবাক হয়েছেন যে এভাবে নির্বাচনে কারচুপি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের আহত করা হয়েছে, এটাতে কূটনীতিকরা ব্যথিত হয়েছেন। আমাদের পোলিং এজেন্টের আহত করা হয়েছে, সেটাতে তাঁরা ব্যথিত হয়েছে। আমরা বিভিন্ন পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি, কীভাবে ফলাফল স্থগিত করে পরবর্তীতে পরিবর্তন করা হয় গভীর রাতে। এসব শুনেছে, তাঁরা নির্বাক থেকেছেন।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
বৈঠকে কূটনীতিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ডেনমার্ক, নরওয়ের রাষ্ট্রদূতসহ জার্মানি, তুরস্ক, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিলিয়ে ১৩টি দেশের বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা।
বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।