যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারার সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘যারা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছে, তাদের সঙ্গে ঐক্য করি নাই। ড. কামাল হোসেন স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে ঐক্য করলেন। তাঁরা তাদের (স্বাধীনতাবিরোধী) স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
আজ শনিবার রাজধানীর বাড্ডায় বিকল্পধারার নির্বাচনী কার্যালয়ে বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী মনোনয়ন বিষয়ে আলোচনা সভা ও যোগদান অনুষ্ঠানে বি চৌধুরী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ড্যাবের সাবেক সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বিকল্পধারায় যোগ দেন।
বি চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে তাঁরা যখন ঐক্য করলেন তখন আমাদের স্মরণ হয় লাখ লাখ শহীদ ও নির্যাতিত মা–বোনদের। তাঁরাই আমাদের ঐক্যের প্রতীক। আমরা স্মরণ করি ইতিহাসের স্বাপ্নিক পুরুষ বঙ্গবন্ধুকে, জিয়াউর রহমানকে, মাওলানা ভাসনীকে, হোসেন শহীদ সেহরাওয়ার্দীকে, শেরেবাংলা ফজলুল হককে, ওসমানীকে। কিন্তু কোনো দলের মেনিফেস্টোতে এসব নেতার নাম নেই। যুক্তফ্রন্ট এসব নেতাকে শ্রদ্ধা করে এবং দেশে শ্রদ্ধার রাজনীতি স্থাপন করবে।’
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, কোনো পক্ষ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করলে দেশবাসী তাদের ক্ষমা করবে না। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, সে জন্য নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে মনে রাখতে হবে, তারা এখন সরকারের কাছে দায়ী নয়। কমিশন শতভাগ স্বাধীন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে ঘৃণা করি। দুর্নীতি বাংলাদেশকে গ্রাস করেছে। দুর্নীতি কমাতে পারলে উন্নয়ন অনেক বেশি হতো। বাংলাদেশের চেহারা অনেক ভালো হতো।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, যুক্তফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী গোলাম সারোয়ার মিলন, ইউসুফ, সদ্য বিকল্পধারায় যোগদানকারী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, বিএলডিপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, বিএলডিপি মহাসচিব দেলোয়ার হোসেন, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেইন ঈসা, জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শেখ মো. আসাদুজ্জামান, মহাসচিব এম আশিকুজ্জামান, বাংলাদেশ জনদলের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, মহাসচিব সেলিম আহমেদ, বাংলাদেশ মাইনরিটি ইউনাইটেড ফ্রন্টের সভাপতি দীলিপ কুমার দাস, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী প্রমুখ।