তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের জঘন্য সব অপরাধকর্মের রক্ষার ঢাল হিসেবে ড. কামাল হোসেন ব্যবহৃত হলেন। নিজের মুখোশটাও খুলে ফেললেন তিনি।
আজ রোববার সকালে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের কাছে ইনু এসব কথা বলেন।
জাসদের সভাপতি বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন, বি. চৌধুরী বিএনপি-জামায়াতের দুষ্কর্ম রক্ষা এবং তাদের রাজনীতির মাঠে পুনর্বাসন করার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এটা জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে তাঁদের যে ঐক্য, সেটা গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য নয়, সংসদ নির্বাচনের জন্যও নয়। এটা মূলত দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে দম ফেলার সুযোগ করে দেওয়া এবং তাঁকে কারাগার থেকে বের করে এনে রাজনীতির মাঠে আবার হালাল করার জন্য।’
গতকাল রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতা অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, ‘তাঁরা এমন সব অস্বাভাবিক দাবি উত্থাপন করছেন, যে দাবি সংবিধানে নেই, আইনে নেই, কার্যকর করার ব্যবস্থাও নেই। সুতরাং, ভোটের আগে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি, নির্দলীয় তথাকথিত সরকারের দাবি এবং সংসদ বাতিলের দাবি এই মুহূর্তে মানা সম্ভব নয়।’
ইনু বলেন, ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সংবিধানে শূন্যতা তৈরির একটি ফাঁদ ড. কামাল হোসেনেরা পেতেছেন। নির্দলীয় সরকারের দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিগুলো কার্যত বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ডোবানোর একটা ফাঁদ। এই চোরাবালিতে যদি কেউ পা রাখে, তাহলে গণতন্ত্রও ডুববে, দেশও ডুববে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্দলীয় ব্যক্তি পাওয়া যাবে না। নির্দলীয় ব্যক্তি খোঁজার নামে কালক্ষেপণ করা হবে, সময় নষ্ট করা হবে এবং ৫ জানুয়ারির ভেতরে সমাধান হবে না।
মতবিনিময়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম, প্রচার সম্পাদক কারশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।