সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যের মূলশক্তি থাকবে বিএনপি ও জামায়াত। ড. কামাল ও বদরুদ্দোজা চৌধুরী থাকবেন শুধু সাক্ষী গোপাল। ষড়যন্ত্রের এই ঐক্য কোনো ফল দেবে না। আন্দোলন দূরে থাক, তাঁরা একত্রে কোনো কাজই করতে পারবেন না।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আওয়ামী লীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কথাগুলো বলেন মেনন। এলাকার স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সম্পাদক, শিক্ষক, মসজিদ কমিটির সদস্য, ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা এই সভায় অংশ নেন।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নতুন ঐক্যে বিএনপির সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে সমালোচনা করে মেনন আরও বলেন, ড. কামাল হোসেনের মতো জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তির নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনটি এখন জগাখিচুড়ি অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। যেখানে বিএনপি গত নয় বছরে নয়টি আন্দোলনও করতে পারেনি, সেখানে এই ঐক্য আন্দোলনের ডাক দিয়ে সরকার পতনের কথা বলছে। আন্দোলন তো দূরের কথা, এই ঐক্য আসলে তাদের মধ্যে কোনো ঐক্যই আনতে পারবে না। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কাছে তাদের ষড়যন্ত্রের ঐক্য ধুয়ে বিলীন হয়ে যাবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন বলেন, ‘আমাদের বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ এক অবিশ্বাস্য উন্নয়নের পথে এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশে এ বছর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি পরপর গত দুবছর ৭ শতাংশের কোটা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের জিডিপি বেড়েছে কয়েক গুণ। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২০০৫ সালের বিএনপি-জামায়াতের শাসনের ৫৪০ ডলার থেকে এখন দাঁড়িয়েছে ১৭৫২ ডলারে।’
মেনন বলেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৩ বিলিয়ন ডলার। খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন নিজের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির কথা ভাবতে পারছে। মৎস্য চাষে বাংলাদেশ পৃথিবীর চতুর্থ ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, গার্মেন্টস রপ্তানিতে দ্বিতীয়। এর সঙ্গে ওষুধ, সিমেন্ট, চামড়াজাত দ্রব্য, চিংড়ি, কাঁকড়া, কচ্ছপ ও কুটির শিল্পজাত পণ্য ব্যাপক হারে বিদেশে রপ্তানি করছে।
মেনন বলেন, এই সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন লোকের নেতৃত্বে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোনো ফায়দা হবে না।
১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান বাবুলের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইসমাত জামিল লাভলু, শাহজাহানপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুকিত হাওলাদার, হুমায়ুনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা–কর্মীরা।